বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সড়ক দুর্ঘটনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী অজয় মজুমদারের (২২) মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ট্রাক চালককে গ্রেফতার করছে পুলিশ। তার নাম মো. মামুন আলী (৫৮)। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার সাতগাড়ী গ্রামের নতুনপাড়া এলাকার জবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।
সুধারাম থানার ওসি মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার সেতুভাঙ্গা এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি দায়ের করেন। গ্রেফতার মামুন আলীকে বুধবার আদালতে হাজির করা হবে। এদিকে রাত ৯টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলায় অজয় মজুমদারের দাহ সম্পন্ন হয়। এর আগে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে সদর উপজেলার সোনাপুরে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে নামার সময় পেছন দিক একটি ট্রাক অজয় মজুমদারকে চাপা দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে তিন ঘণ্টা সোনাপুর-মাইজদী সড়ক অবোধ করে রাখে। এ সময় শিক্ষার্থীরা সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
নিহত অজয় মজুমদার (২২) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনফরমেশন সাইন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের বাদল চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।