বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় শৃঙ্খলা, সমতা ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে ৯টি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে এক হোটেলে ‘ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।
তাদের উল্লেখিত বিষয়গুলো হলো– অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) ব্যবসা পরিচালনার যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। এয়ার টিকিটের মজুতদারি ও সিন্ডিকেট বন্ধ করে গ্রুপ টিকিটিংয়ের নীতিমালা করা। টিকিটের গায়ে এজেন্সির নাম, যোগাযোগের ফোন নম্বর, টিকিটের মূল্য উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা। বিদেশি ওয়েবসাইট-এপিআইগুলো যাতে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ব্যবসা করতে না পারে সে জন্য বিদেশি ব্লক করা ও অর্থপাচার বন্ধ করা। তৃতীয় দেশ (যাত্রা ও গন্তব্যের দেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশ যেমন ভারত, দুবাই, সিঙ্গাপুর) থেকে বিক্রি করা টিকিটের যাত্রী বাংলাদেশ বিমান বন্দরে অনবোর্ড বন্ধ করলে তৃতীয় দেশ থেকে টিকিট বিক্রি ও অর্থপাচার বন্ধ হবে। এয়ার টিকিট বিক্রির নামে শত শত কোটি টাকা অগ্রিম অর্থ সংগ্রহের বিপরীতে উৎসাহিত করা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। এই সেক্টরে অরাজকতা ও জনস্বার্থহানি প্রতিরোধ করতে এবং ট্রেডে বৈষম্য কমাতে ট্রাভেল এজেন্সি এয়ারলাইন্সের মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে টিকিটের ভাড়া প্রদর্শন, বিজ্ঞাপন, বিক্রি ও বিপণন করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া। নিবন্ধনবিহীন ভুয়া এজেন্সিদের অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা, এয়ার টিকিট ও সেবা বন্ধের ব্যবস্থা করা। লাইসেন্সবিহীন কোনও ভুয়া এজেন্ট প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার জন্য অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি (ওটিএ) যাতে লগইন আইডি না দেয় সে নির্দেশনা দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন আটাবের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ। তিনি বলেন, ‘উল্লেখিত বিষয় সম্পর্কে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি এবং পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের বক্তব্য মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে। এগুলো বাস্তবায়ন করা না গেলে এই সেক্টরের শৃঙ্খলা থাকবে না। নিবন্ধনহীন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা টিকিট দেওয়ার নামে জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এয়ার টিকিটের মূল্য কেন বেশি এটি আমরা বার বার বলেছি। গ্রুপের নামে টিকিট ব্লক করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এটি কোনও গ্রুপ না। মূলত টিকিটের দাম বাড়াতেই কৌশলে এগুলো করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো সরকারকে অনিয়ম অন্যায় দেখিয়ে দেওয়া। কাজ করবেন তারা। আমরা আশা করছি, এবারের এই ৯ বিষয়ের ওপর সরকার গুরুত্ব দেবে এবং এ সেক্টরের যে সমস্যাগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি তা দূর করতে উদ্যোগী হবে।’