বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত শিশু রবিউলের (৮) সন্ধানে এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। স্বজন না থাকায় শিশুটিকে দেখাশোনা করছেন অন্যান্য রোগীর স্বজনরা।
রবিউলের স্বজনদের সন্ধান চেয়ে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তার পরও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশু রবিউলের সন্ধানে কেউ আসেনি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, সোমবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় শিশুটি অজ্ঞান অবস্থায় ছিল। পরে জ্ঞান ফিরলে তার নাম (রবিউল) বলতে পারলেও একেক সময় একেক ঠিকানা বলছে। একবার বলছে তার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুর। একটু পরেই বলছে ঢাকার গুলিস্তানে।
তিনি আরও জানান, তার শরীরে আঘাতের তেমন কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। কোনো কিছুতে চাপা পড়ে হয়তো তার এমন অবস্থা হয়ে থাকতে পারে। তার অবস্থা আশঙ্কা মুক্ত বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি জগন্নাথপুর এলাকায় এগারোসিন্দুর ও চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত হন। নিহত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে একজনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আহতের বেশির ভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বেশ কয়েকজনকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ট্রেনটির চালক, সহকারী চালক ও পরিচালককে (গার্ড) সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।