বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসে থাকা ১৭ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা সবাই হাটহাজারীর আর এণ্ড জে নামক একটি কোচিং সেন্টারের ছাত্র-শিক্ষক। এ ঘটনায় ছাত্র শিক্ষকসহ ১১ জনই ঘটনাস্থলে মারা যায়। এছাড়া আহত ৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ছয়জন হলেন— মাইক্রোবাসের হেলপার তৌকিদ ইবনে শাওন (২০), একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহিম (১৮), তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), মো. ইমন(১৯), এসএসসি পরীক্ষার্থী তছমির পাবেল (১৬) ও মো. সৈকত (১৮)।
অন্যদিকে নিহত ১১ জনের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় মিলেছে। এর মধ্যে কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব এবং রেদোয়ান। এছাড়া কেএস নজুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিশাম, আয়াত, মারুফ, তাসফির, হাসান। এছাড়া মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা নিরু (২৮)।
আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থী কাজী এম সাজিদ বলেন, ‘আমান বাজার এলাকার যুগিরহাটে আমাদের কোচিং সেন্টারটি অবস্থিত। কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী খৈয়াছড়া ঝরনাসহ মীরসরাইয়ের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র দেখতে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলেছিলেন। এর মধ্যে চার জন শিক্ষক ছিলেন। তারা হলেন জিসান, রিদুয়ান, সজিব ও রাকিব। বাকিরা শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছয় জন এসএসসি পরীক্ষার্থী বাকি চার জন একাদশ শ্রেণির ছাত্র। একজন মাইক্রোবাসের চালক অপরজনের পরিচয় আমার জানা নেই। ১৭ জনের মধ্যে ১১ জন নিহত হয়েছেন। ৬ জন আহত হয়েছেন।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তা নিবেদিতা ঘোষ বলেন, ‘মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চার জন এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
চমেক পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দীন তালুকদার বলেন, পাঁচ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক। ২৪নং ওয়ার্ডে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আইসিইউতে দেওয়া হয়েছে।