ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে আদিবাসী ছেলের চুরির অপবাদে মাকে নির্যাতনের ১৪ ঘণ্টা পর মায়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।বুধবার সকালে পরিষদ পাড়ার লিচু বাগানের গাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।নিহত দায়ন ঋষি পরিষদ পাড়ার বিশু ঋষির স্ত্রী।
নিহতের স্মামী বিশু, ছেলে রাজনসহ স্বজনরা জানায়,দায়নের একমাত্র ছেলে রাজন ঋষিকে ৩ লক্ষ টাকা চুরির অপরাধে মারধর, নির্যাতন করে একই পাড়ার আমজাদ নামের এক ব্যক্তি।নির্যাতন সইতে না পেরে রাজন বলে চুরিকৃত টাকা তার মায়ের কাছে রয়েছে। তখন আমজাদের লোকজন নিহত দায়ন ও তার স্বামী বিশুকে বেধড়ক পেটায় পরবর্তীতে সন্ধ্যায় মা দায়ন ও ছেলে রাজন ঋষিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানা থেকে ফেরার পথে ছেলেকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে মা দায়ন ঋষিকে নিয়ে যায় আমজাদের লোকেরা। সারারাত দায়ন আর ফেরে নি। পরদিন সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী লিচু বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত দায়নের লাশ নিয়ে আদিবাসী গোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও থানায় বিচারের দাবিতে অবস্থান নেয়। তারা এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে দোষীদের ফাঁসি চান। তারা থানা থেকে নির্যাতকদের হাতে দায়নকে তুলে দেবার প্রতিবাদ জানায়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা হবে।
ঘটনা প্রশ্নে স্থানীয় কাউন্সিলর দোলন কুমার মজুমদার বলেন, থানায় মামলা না দিয়ে আমজাদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা রাজন ঋষি, তার বাবা বিশু ও মা দায়ন ঋষিকে মারধর করে এবং ধরে নিয়ে যায়। তাদেরকে চুরির জন্য আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার জানান,তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা হবে।