ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ কয়েকদিনের টানা বর্ষনের ফলে ঠাকুরগাঁওয়ের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালে পৌর শহরের ডিসি বস্তি, এসিল্যান্ড পাড়াসহ আশ পাশের নিচু এলাকাগুলো ঘুরে এমনই চিত্র চোখে পরে। সরেজমিনে দেখা যায় ডিসি বস্তির অনেকের বাড়িতে পানি ঢুকে পরেছে।
দুর্গতরা বাড়িঘর ছেড়ে শিল্পকলা একাডেমি ভবন,শালিখ স্কুলসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
আর কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও দূর্বিষহ হয়ে উঠবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সাধারণত ঠাকুরগাঁও জেলা বন্যামুক্ত হিসেবে বিবেচিত, অনভ্যস্ত হওয়ায় বন্যাদুর্গতদের ভোগান্তি চরমে।এর মধ্যে বৃষ্টির পানিতে এসিল্যান্ড পাড়ার প্রবেশের রাস্তাটির বিরাট অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে শুধু হেটে মানুষজন চলাচল করলেও রিক্সা-ভ্যান বা অন্যান্য কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে ভোগান্তিতে এসিল্যান্ড পাড়ার মানুষজন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিনের টানা বর্ষনের ফলে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আর রাস্তার দক্ষিণ পাশের এলাকার সমস্ত পানি ওই রাস্তাটির নিচে স্থাপিত ২টি পাইপ দিয়ে টাঙ্গন নদীতে পরে থাকে। কিন্তু পানি বাড়ার কারনে রাস্তাটির একপাশে কিছুটা ভেঙ্গে গেছে।
ধীরে ধীরে ভাঙ্গন বাড়তে থাকলে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী দুশ্চিন্তায় পরেছেন। এসিল্যান্ড পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা হলে তারা বলেন, শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। শনিবারও বিকেল অবধি বৃষ্টির ফলে নদীর পানি বেড়েছে।
পাশের একটি রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গেলেও প্রধান এ রাস্তাটি সম্পুর্ন ভেঙ্গে গেলে এই গ্রামের মানুষদের চলাচলে ভোগান্তি বাড়বে। বিষয়টি জানার পর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা, আওয়ামী লীগ নেতা দ্বীপক কুমার রায়, মোস্তাফিজুর রহমান রিপন ও প্যানের মেয়র মো: আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মেয়র আঞ্জুমান আরা বন্যা বলেন, রাস্তাটির একাংশ ভেঙ্গে গেছে।এটি যেহেতু সিএমবির প্রজেক্ট। তাদের পক্ষ থেকে প্রকৌশলীগণ এসে ভাঙ্গনের বিষয়টি দেখে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে তারা যদি পদক্ষেপ না গ্রহন করে তাহলে পৌরসভার পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।