বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ডলারের বাজারে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করেছে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে এর চেয়েও বেশিতে। তবে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের এলসি পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় সব ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির দায় পরিশোধের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আংশিক সহযোগিতা করছে। বাদ থাকে শুধু অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির এলসি দায়। এই পরিস্থিতিতে ডলার নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি আমদানিমুখী। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের পাশাপাশি কার্ব মার্কেটেও ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। বিশেষ করে কার্ব মার্কেটে তা অনেক বেশি। আমাদের দেখতে হবে, কার্ব মার্কেটের ডলারের ব্যবহারকারী কে? কার্ব মার্কেটের ডলারের ব্যবহারকারী দেশের ১৭ কোটি মানুষ নয়। খুব সীমিতসংখ্যক মানুষ কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কেনেন। বিশেষ করে যারা বিদেশ ভ্রমণে যাবেন বা বিদেশে কারো কাছে ডলার পাঠাবেন এমন মানুষেরাই এ বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করেন।
গভর্নর বলেন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) পেমেন্ট করার পর আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছিল। বর্তমানে এটি আবারো ৪২ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। রিজার্ভের পরিমাণ আগামীতে আরও বাড়বে। অগ্রাধিকার পণ্যের আমদানি দায় পরিশোধের জন্য এখন পর্যন্ত আমরা রিজার্ভ থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার জোগান দিয়েছি। সাধারণ মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য আমরা উদ্যোগী হয়েছি। মূল্যস্ফীতিকে সহনীয় রাখতে বাজারে পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে।