ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা তালেবানের কাছে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি যে, আফগানিস্তানে থাকা সকল বিদেশি নাগরিক এবং যেসব আফগান নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণের যথাযথ অনুমতি থাকবে; তালেবান তাদেরকে সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদে দেশ ত্যাগ করতে দেবে।
বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স স্পেনসহ আরও কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, তারা আফগান নাগরিকদের তাদের দেশে যেতে অনুমতিপত্র দেবেন।
গত ১৫ আগস্ট বিনা রক্তপাতে কাবুল দখল করে তালেবান। এরপর হাজার হাজার আফগান নাগরিক দেশত্যাগ করতে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন। এতে বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই বিশৃঙ্খলার সুযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের একটি গেটে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা করে আইএস খোরাসান শাখা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাসহ ১৭০ এর অধিক মানুষ নিহত হয়।
আগামী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান ছেড়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এখনও অনেক বিদেশি নাগরিক আফগানিস্তানে রয়ে গেছেন। তাছাড়া গত ২০ বছর তালেবানের বিরুদ্ধে কাজ করা আফগান নাগরিকরাও ভয়ে বিদেশে যেতে চাইছেন।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে যাবার পর কাবুল বিমানবন্দর তালেবান নিয়ন্ত্রণ করবে। তারা বিদেশি নাগরিক ও পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিকদের দেশ ত্যাগ করতে দেবে কী না এ নিয়ে শঙ্কায় ছিল পশ্চিমা বিশ্ব। তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ব নেতারা তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করল।
এর আগে তালেবান বিদেশি নেতাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, বিদেশে হামলার জন্য কোনো জঙ্গি সংগঠনকে তালেবান আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না। এছাড়া তালেবান প্রতিবেশী কোনো দেশে অস্তিরতা সৃষ্টি কিংবা হস্তক্ষেপ করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।