বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন লাগার পর কয়েক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত এক জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উদ্ধার কাজ শেষ করার পর রাতেই এক সংবাদ সম্মেলনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, একজন নিহত ওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রাখা হয়েছে। তিনি ভবনটি থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে মারা যান। এছাড়া আরো তিন জনকে দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, যাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে তাদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
আগুন লাগার এ ঘটনায় ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
দমকলকর্মীদের পাশাপাশি উদ্ধার কাজে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। টানা কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন লাগার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে আগুন ধরার পর ভবনটির বিভিন্ন ফ্ল্যাটে লোকজন আটকে পড়েন। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে ১২ তলা ভবনটির ৭ তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
শুরুতে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য গেলেও আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ায় ধাপে ধাপে মোট ১৯টি ইউনিটকে ঘটনাস্থলে নিয়োজিত করা হয়।
এরই মধ্যে আগুন ওপরের তলায় ছড়িয়ে পড়লে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সাথে নৌবাহিনীকে যুক্ত হতে দেখা যায়।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ধারণকৃত ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গিয়েছে ভবনটির সাত তলা ভবন থেকে চার জন আগুন থেকে বাঁচতে নীচে লাফিয়ে পড়েছেন।
তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুলশান থানা পুলিশ বলছে, ভবনটি আবাসিক এবং প্রতিটি ফ্লোরে একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। আটকে পড়াদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
আগুন লাগার পর ভবনটির বিভিন্ন তলা থেকে আটকে পড়া মানুষদের চিৎকার করে সাহায্য চাইতে দেখা যায়। অনেকেই ছাদে আশ্রয় নেয়ার পর তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ভবনে আটকে পড়া বাসিন্দাদের আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।