পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বান্দরবান জেলার মধ্যে রুমা উপজেলা ছিল অতি দুর্গম ও পশ্চাৎপদ। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পার্বত্য জেলাগুলোতে রাস্তা, ব্রীজ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, খিয়াং, বিদ্যুত, সোলার, কৃষি এবং পর্যটন বিকাশসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার আগে বিরোধী দলসহ রাজা বাদশারাও ক্ষমতায় ছিল তারা তো আওয়ামী লীগ সরকারের মতো উন্নয়ন করে দেখাতে পারেনি। তারা মুলত নিজেদেরকে রাজা আর সাধারণ মানুষকে প্রজা বানিয়ে রেখে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করতে চায়নি। কারণ প্রজার ছেলে মেয়েরা শিক্ষিত হলে তাদের পদ পদবী থাকবে না, এই ভয়ে তারা স্কুল-কলেজ তৈরি করেনি। আর শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে যেখানে কলেজ আছে সেখানে ভার্সিটি, যেখানে স্কুল আছে সেখানে ডিগ্রী কলেজ তৈরী করে দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, হেনরী কিসিঞ্জারের আখ্যায়িত সেই তলা বিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।
আজ মঙ্গলবার বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা পরিষদ ভবন চত্তরে রুমা উপজেলায় কর্মরত সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এলজিইডি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের ৪৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রশস্ত সড়ক হয়েছে আর যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকলক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি সুন্দর ও পর্যটকবান্ধব হয়েছে। দেশের উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান মন্ত্রী।
মত বিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আলম, জেলা আওয়ামিলীগ এর সাধারণ সম্পাদক লক্ষি পদ দাশসহ সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য এলজিইডি’র ৮টি উন্নয়ন কাজের মধ্য ৫ টি উদ্বোধন ও ৩টি ভিত্তি প্রস্তর। মোট বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ৮টি কাজের মধ্য ৫টি উদ্বোধন ও ৩টি ভিত্তি প্রস্তর। এতে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ। এ ছাড়াও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এর ৮ টি কাজের মধ্য ৭টি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং ১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এসব কাজে মোট বরাদ্দ ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা।
মতবিনিময় সভা শেষে দুস্থ মহিলা ও অসহায়দের মাঝে সেলাই মেশিন, কৃষি উপকরণ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।