শুক্রবার সকাল থেকে বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন অভিনেতা। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান, অভিনেতা একটি ধমনী পুরোপুরি বল্ক হয়ে গিয়েছে। দ্রুত তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। এরপর আইসিইউতে একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই ধকল সহ্য করতে পারেননি। শনিবার ভোরে আবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিবেক। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ভোর ৪টা ৩৫ মিনিটে উনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
গত বৃহস্পতিবার ওমানদুরারের সরকারি মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বেসরকারি হাসপাতালের জায়গায় কেন সরকারি হাসপাতালকে বেছে নিলেন অভিনেতা, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নেওয়া সুরক্ষিত তা বোঝাতেই আমি এই টিকা নিলাম। হাসপাতালের দরজা সবার জন্য খোলা, সেই বার্তা পৌঁছে দিতেই এখানে আসা।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা টিকা নেওয়ার জন্য বিবেক হৃদরোগে আক্রান্ত হননি।
প্রবীণ পরিচালক কে বালাচান্দেরের হাত ধরে সিনেমার জগতে পা রেখেছিলেন বিবেক। আশির দশকের শুরুতে তামিল সিনেমায় বিভিন্ন ছোটো চরিত্রে দেখা যেত বিবেককে। নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে কমেডিয়ান হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। নয়া শতকের শুরুতে ফিল্মের পোস্টারে স্টারদের সঙ্গে তার ছবিও থাকত। যিনি বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিতেন। ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। যিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম গুণমুগ্ধ ছিলেন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস