বুধবার রায় ঘোষণার পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আইনমন্ত্রী প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলা দায়ের করার পর হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ দ্বারা এই মামলা চলবে- এই রায়ের পর মামলার বিচারিক কাজ সম্পন্ন হয়। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশে যে আইনের শাসন আছে তারই একটা প্রতিফলন এবং এটা অবশ্যই রাষ্ট্রের এ রকম প্রধানমন্ত্রীর পুত্র যদি এ রকম দুর্নীতি করে আমার তো মনে হয় সেখানে সাজা দেওয়টাই উচিত।’
তিনি বলেন, আদালত যে সাজা দিয়েছেন আমি মনে করি দেশে আইনের শাসন আছে এবং আইনের শাসনে এই মামলায় বিচার করার দায়িত্ব আদালতের ছিল, সেই দায়িত্ব আদালত সম্পন্ন করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলাটা দায়েরের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। তখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই। তারাই দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছিল। তারা (বিএনপি) যদি বলেন ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্মুখজ্ঞান আছে বলে আমার সন্দেহ।
নির্বাচনের আগে এই রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, এখানে বিভ্রান্ত করার কী আছে? বিচারিক কাজ হয়েছে, রায় রেবিয়েছে। সাজা দেওয়াটা, আসামি তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন, আরেকটি দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট তাকে সাত বছর দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। নতুন করে এটা দিয়ে ওনার ভাবমূর্তি খারাপ করার তো আমাদের প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়ে না।