বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তালেবান এবং আফগানিস্তান সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র যুদ্ধের মধ্যে পাকিস্তানের মাটিতে তালেবানদের নিরাপদ আশ্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি এই অভিযোগকে ‘অত্যন্ত অন্যায়’ বলে উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেন, ‘আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধের পর হাজার হাজার পাকিস্তানি প্রাণ হারিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, তালেবান কোনো সামরিক সংগঠন নয়, বরং তারা সাধারণ বেসামরিক নাগরিক। আমেরিকান পিবিএস টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গত বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন তোলা হয়, পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী থাকেন। পাকিস্তান কীভাবে তাদের খুঁজে বের করবে? তাদের বেশিরভাগই পশতুন, তালেবান যোদ্ধাদের মতো একই জাতি গোষ্ঠীর।
এদিকে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ১৬ জুলাই দুশানবেতে এক সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা হিসাব অনুযায়ী গত মাসে পাকিস্তান ও অন্যান্য স্থান থেকে ১০ হাজারের বেশি জিহাদি যোদ্ধা আফগানিস্তানে অনুপ্রবেশের ইঙ্গিত দেয়।
পাকিস্তান এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, আফগানিস্তান তাদের দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
ইমরান খান আফগানিস্তানে চলমান সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতের ‘সামরিক সমাধান’ চেয়ে আফগানিস্তানে সত্যিই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।
‘আর আমার মতো লোকেরা যারা বলতে থাকে যে কোন সামরিক সমাধান নেই, যারা আফগানিস্তানের ইতিহাস জানে, আমাদের ডাকা হয়েছিল, আমার মতো লোকদের আমেরিকা বিরোধী বলা হত। আমাকে তালিবান খান বলা হত।’
বিডেন প্রশাসন এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড অনুসারে প্রায় ৯০ শতাংশ সেনা ইতিমধ্যে আফগানিস্তান ছেড়েছে।