বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:প্রায় দুই দশক পর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালেবান। রোববার প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসসহ রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গানির সরকারকে উৎখাত করেছে তারা। তাদের ক্ষমতা দখলের পর অনেকে আফগানিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছেন।
বিমানবন্দরে শিশুকে রেখে মা-বাবা উধাওয়ের খবরও বিশ্ব গণমাধ্যমে আসছে। এ ছাড়াও সেখাকার নারী ও শিশুদের অসহায়ত্ব প্রকাশিত হচ্ছে গণমাধ্যমে। আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থায় শঙ্কিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। দুই বাংলায় জনপ্রিয় জয়া বলেন, ওখানকার যতো ছবি দেখছি, আমার ভিতরটা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে।
তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পরে আফগান পরিচালক সারা করিমি খোলা চিঠি দিয়ে সাহায্যের আবেদন করেছেন। এ বিষয়েও মুখ খুলেন জয়া। আনন্দবাজারের কাছে জয়া বলেন, আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আঙুল সব সময়েই ওঠে মেয়েদের দিকে। ঠিক কম্পাসের কাঁটার মতো তা ঘুরে যায় নারীজাতির দিকে। সারা করিমি যে আহ্বান জানিয়েছেন, আমি মন থেকে তাতে সায় দিচ্ছি। তার সঙ্গে আছি। দূর থেকে কতোটা কী করতে পারবো জানি না, আমার পক্ষে যদি কিছু করার সুযোগ আসে, নিশ্চয়ই করদবো। ওখানকার যে সব ছবি দেখছি, শিউরে উঠছি। বাংলাদেশ হোক, ভারত হোক বা বহির্বিশ্বের যে কোনো দেশেই মেয়েদের উপরে অত্যাচার হলে আমাদের সরব হতে হবে। দেশটা আমাদের থেকে দূরে ভেবে বসে থাকলে চলবে না। আজকে যা ওখানে হচ্ছে, কাল তা আমার দেশে বা কলকাতায়ও হতে পারে।
এ সময় জয়ার কাছে প্রশ্ন রাখা হয় বাংলাদেশের অভিনেত্রী মিথিলা, বাঁধন এখন কলকাতায় অভিনয় করছেন। বিষয়টি প্রতিযোগিতা বাড়ছে বলে তিনি করছেন কিনা? জয়া তার সাবলীল উত্তরে বলেন, আমার তো খুব আনন্দ হচ্ছে। আর প্রতিযোগিতা হিসেবে ভাবলে, সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা তো ভালোই। আমার মতে, শিল্পের কোনও সীমারেখা থাকা উচিত নয়। আদানপ্রদান তো শিল্পীদের মাধ্যমেই হয়। আমি চাইবো আরো বেশি মানুষ আসুক বাংলাদেশ থেকে, কাজ করুক এখানে। আর শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীই নন, পরিচালকরাও আসুন। এখানে ছবি তৈরি করুন। আমারও দল ভারী।
বাংলাদেশে তার অভিনীত ‘বিউটি সার্কাস’ ছবিটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। সরকারি অনুদান পাওয়া ছবি ‘রইদ’ নিয়েও দ্রুত কাজে নামতে চান এই অভিনেত্রী। -আনন্দবাজার