বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আগামী তিন অর্থবছরে শুধু সুদ পরিশোধেই ব্যয় করতে হবে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে দুই লাখ পাঁচ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ ব্যয় করা হবে বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধে। অর্থ বিভাগের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৬৮ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। তার পরের দুই অর্থবছর (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) অর্থবছরে এ খাতে ব্যয় হবে যথাক্রমে ৭৭ হাজার ৫৫ কোটি ও ৮৮ হাজার ১৬০ কোটি টাকা। তিন বছরে শুধু অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে যথাক্রমে ৬২ হাজার কোটি, ৬৯ হাজার ৮০০ কোটি এবং ৭১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা।
নীতি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মোট অর্থায়নের একটি বড় অংশ বাইরের উৎস থেকে রেয়াতি সুবিধা সম্পন্ন ঋণ হিসেবে পাওয়ায় সরকার অতীতে সামগ্রিক অর্থায়ন ব্যয় তুলনামূলকভাবে কমিয়ে রাখতে পেরেছে। বিগত পাঁচ বছরে (২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর) বহিঃঅর্থায়নের বিপরীতে সুদ বাবদ ব্যয় ছিল সরকারি ব্যয়ের শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ এবং বহিঃঅর্থায়নের বিপরীতে অন্তর্নিহিত সুদ হার ছিল গড়ে মাত্র এক দশমিক ১ শতাংশ। তবে বাইরের উৎস থেকে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বহিঃঋণের বিপরীতে সুদ বাবদ ব্যয় সামান্য বেড়েছে। অন্য দিকে যেহেতু নিকট অতীতে সরকার প্রায়ই ব্যয়বহুল ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকে ঋণ নিয়ে অর্থায়নের চাহিদা মেটাতে হয়েছে, তাই অভ্যন্তরীণ ঋণের বিপরীতে পরিশোধিত সুদ সরকারের মোট সুদ ব্যয়ের প্রধানতম অংশ ছিল। বিগত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ ঋণের বিপরীতে সুদ বাবদ গড় ব্যয় ছিল বাজেট ব্যয়ের ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং গড় অন্তর্নিহিত সুদহার ছিল মাত্র ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। সূত্র: নয়া দিগন্ত