বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, তিস্তার পানি প্রবাহের ন্যায্য হিস্যা আমরা না পাওয়ায়, বাংলাদেশের এক লক্ষ হেক্টর জমি শুকিয়ে মরুভূমিতে রূপান্তরিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের লাখো শহীদের রক্তই শুধু ঝরেনি, বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের অসংখ্য সৈনিকের বুকের তাজা রক্তও ঝরেছে। তাই ভারতের সরকারই নয়, জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের আত্মার আত্মীয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এরপরও বাংলাদেশের মানুষ পানির ন্যায্য হিস্যা পাবে না, এটা দুঃখজনক। আশাকরি শিগগিরই দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা করে এবিষয়ে সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বিরোধী দলীয় নেতা। এ সময় তিনি এবারের ভারত সফরে বেশকিছু সাফল্যজনক কর্মকান্ড সম্পন্ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও মোবারকবাদ জানান। বিশেষ করে ভারত সরকার বাংলাদেশকে ডিজেল দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা অবশ্যই সাধুবাদ জানানোর মতো। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে যে চুক্তি সই হয়েছে, তা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানের এক অফিসে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির ভাষণে টেলি কনফারেন্সে বিরোধী দলীয় নেতা এসব কথা বলেন।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব জনাব গোলাম মসীহ্’র সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এম এ সাত্তার, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এস এম এম আলম, এম এ গোফরান, অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা, অধ্যাপক মোঃ ইকবাল হোসেন রাজু ও কাজী মোঃ মামুনুর রশীদ।
সভার প্রারম্ভেই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব জনাব গোলাম মসীহ্ দেশব্যাপী জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলন ২০২২’র প্রস্তুতির ব্যাপক কর্মসূচির বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।