বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বগুড়ার কাহালু উপজেলায় একদিনে গৃহবধূসহ দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তার লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। অন্যজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গৃহবধূ হলেন হাবিবা বেগম। ২০ বছর বয়সী হাবিবা ওই উপজেলার পানদিঘী গ্রামের রিপনের স্ত্রী।
সোমবার সকালে উপজেলার পানদিঘী গ্রাম থেকে গৃহবধূ হাবিবার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেন হাবিবা। ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। মৃতের লাশের পাশ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
ওসি মো. আমবার হোসেন জানান, দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। থানায় পৃথক অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ওই গৃহবধূর লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে তার স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে যে, তুমি ভালো থেকো। দ্বিতীয় বিয়ে করো। সন্তানকে তার নানির কাছে রাখো। এমন কথা লেখা আছে ওই চিরকুটে।
এদিন সকালে উপজেলার চকসুদাম কয়ারপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ বছরের মনিরুল ওই গ্রামের মোজাফ্ফরের ছেলে। পেশায় তিনি রঙমিস্ত্রি ছিলেন। মৃত মনিরুল মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন কাহালু থানার ওসি মো. আমবার হোসেন।
মৃত মনিরুলের বাবা জানান, ‘রাতে খাবার খেয়ে নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে মনিরুল। সকালে ঘর থেকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।’
লাশ উদ্ধারের সময় মনিরুলের গলার বামপাশে কালো দাগ দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। তবে মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, ওই দাগটি মনিরুলের জন্মগত।
মনিরুল নেশাগ্রস্ত ছিলেন এ কারণে তার মৃত্যুর বিষয়ে পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ তোলা হয়নি। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে।