বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বাইডেন যদি তুরস্ককে কোনঠাসা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র তার অত্যন্ত ভালো বন্ধুকে হারানোর ঝুঁকিতে থাকবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
গত মঙ্গলবার তুরষ্তের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টিআরটি খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলায় ইজরায়েলকে সমর্থণ, তুরষ্ককে দায়ী করে আর্মেনিয়ার গণহত্যাকে সমর্থণ, কুর্দি মিলিশিয়াদের সমর্থন এবং তুরষ্কের অভ্যন্তরীন মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ঘামানোকে ভাল চোখে দেখছেন তুরষ্ক।
এসব বিষয় নিয়ে ন্যাটোর এই দুই সদস্য দেশের মধ্যে একধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানুয়ারীতে বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটছে।
এরদোগান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিই আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হয় তবে তাদের কি ইজরায়েলের সন্ত্রাসীদের পাশে থেকে সমর্থণ করা উচিত? আশা করি, এই বৈঠক ওয়াশিংটন-আঙ্কারা সম্পর্কের মধ্যকার মাইলফলক হয়ে থাকবে।
আগামী ১৪ জুন ব্রাসেলসে সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মধ্যে প্রথম বৈঠক হবে। বৈঠকের দুই সপ্তাহ আগে এরদোগান এমন হুশিয়ারী বক্তব্য দিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এরদোগানের কাছ থেকেই সবচেয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণের শিকার হলেন বাইডেন। এখন দু দেশের সম্পর্কের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে ২০০৩ সাল থেকে তুরষ্কের মসনদে আছেন এরদোগান। এই দীর্ঘ ১৮ বছরের মধ্যে হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় রিপাবলিকান বা ডেমোক্রেট যারাই এসেছেন তাদেরকে সহজেই সামলানোর মত দক্ষতা দেখিয়েছেন।