আজ (১৭ জুলাই) সিরিজের পঞ্চম ওয়ানডেতে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ্ব-১৯ দল। বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার রাব্বি। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৭ ওভার ১ বলে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জুনিয়র টাইগাররা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ বলে ৭১ রান করেছেন রাব্বি।
৪ উইকেটে ১৭৯ রানের স্কোর নিয়ে সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছিল স্বাগতিকরা। সেটিই হুট করে পরিণত হয় ৭ উইকেটে ১৮৯ রানে। তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দেন ৮১ বলে ৭১ রান করা আরিফুলও। ক্রিজে এরপর নতুন দুই ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান ও রাফি উজ্জামান। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি বাংলাদেশকে পার করে নিরাপদেই।
অবশ্য আদিল ও আরিফুলের ৮০-পেরোনো স্ট্রাইক রেটের ফিফটি ইনিংস নিশ্চিত করে—হাতে পর্যাপ্ত বল থাকছে বাংলাদেশের। মাহফুজুর ও রাফি তাই ঝুঁকি না নিয়েই পার করাতে পারেন দলকে। এর আগে প্রথম ইনিংসেও বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে বোলিংয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখেন এ দুজন।
এর আগে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসটা এগিয়েছে প্রায় আগের ম্যাচের গতিতেই। গুচ্ছাকারে উইকেট হারিয়েছে তারা। চতুর্থ উইকেটে ৫২ ও পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রান ছাড়া সেভাবে কোনো জুটিই বড় হয়নি। তিনে নামা ডেভিড টিগার করেছেন ইনিংসে একমাত্র ফিফটি।
পেসার রিজান হোসেনের তোপে ১৮ রানেই ২ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা, রাফি এসে তাদের পরিণত করেন ৪৯ রানে ৩ উইকেটে। টিগার ও রিচার্ড সেলেস্টওয়ানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে এরপর ওঠে ৫২ রান। সেলেস্টওয়ানকে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন আরিফুল।
অধিনায়ক জুয়ান জেমসকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে আরও ৪৪ রান তোলেন টিগার। সে জুটি ভাঙে টিগারের উইকেটেই, রোহানাত দৌলার বলে ক্যাচ দেন তিনি। রোহানাত, রাফি ও মাহফুজুর রাব্বি এরপর আঘাত করেন নিয়মিত বিরতিতে। ৬৫ রান তুলতে শেষ ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতেই অলআউট তারা।
রিজান ২ উইকেট নেন ৮ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে। রোহানাত ও রাফিও নেন দুটি করে উইকেট। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট অধিনায়ক রাব্বির, তিনি খরচ করেন ৪৩ রান।