বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট স্কোয়াডে থাকছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সোমবার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, সাকিব ছুটি চেয়ে আবেদন করেছিল মূলত আইপিএল খেলতে। যেহেতু সেখানে সে দল পায়নি। তাই তার কাছে আবারও জানতে চাওয়া হয়, সে এখন খেলতে পারবে কি না। পরে সে নিশ্চিত করেছে; দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে।
টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত খেললেও সাকিব অনেকদিন থেকে অনিয়মিত টেস্ট ক্রিকেটে। মার্চে বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এদিকে সাকিব আইপিএল নিলামের আগেই বোর্ডে জমা দিয়েছিলেন দল থেকে অব্যাহতির চিঠি। আগামী ছয়মাস টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান না তিনি। নেপথ্যের কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল আইপিএলে খেলার কথা। কিন্তু দল না পাওয়ায় এবার সাকিবের খেলা হচ্ছে না আইপিএল। তাই নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে সাকিবের টেস্ট ভাবনা নিয়ে।
সাকিবের কাছে এক বছরের পরিকল্পনাও চেয়েছিল বিসিবি। তবে তারপরই পাওয়া গেল এমন খবর।
সাকিব সর্বশেষ টেস্ট খেলেন দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ডে প্রথম জয় পাওয়ার সেই ঐতিহাসিক সিরিজে সাকিব অনুপস্থিত ছিলেন দল থেকে পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নেওয়ায়। এমন ছুটি অবশ্য প্রথমবার নেননি সাকিব। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে এভাবে ব্যক্তিগতভাবে ছুটি নেওয়াটা সাকিবের ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো।
এর আগে ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিয়ে টেস্ট ম্যাচ না খেলার প্রথম ঘটনাটি সাকিব ঘটান ২০১৮-১৯ এর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়। এরপর গতবছর দ্বিতীয়বার তিনি শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ছুটি নেন তার আইপিএল কমিটমেন্টের জন্য।
আইপিএলের ১৫তম আসরের মেগানিলাম অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারির ১২ ও ১৩ তারিখে। এই নিলামের বেশ আগেই সাকিব বিসিবিতে চিঠি মারফত আগামী ছয় মাস টেস্ট ক্রিকেট খেলায় নিজের অনাগ্রহের কথা জানান। সে হিসেবে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকছেন না, এটাই অনুমিত ছিল।
সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ারের দিকে তাকালে দেখা যায় ২০১৮ এর পর থেকে তিনি টেস্ট ক্রিকেটকে সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিচ্ছেন। ২০১৮ এর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর থেকে মাত্র ৩০ শতাংশ টেস্টে সাকিব খেলেছেন। ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা ও ছুটিই সাকিবের টেস্টে অনুপস্থিতির কারণ।