বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ময়মনসিংহে দাদির সঙ্গে নাতির বিয়ে হয়েছে। সোমবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত ছামছুদ্দিন ওরফে শামের স্ত্রী শিরীনা আক্তারের (৫৫) সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুর রশিদের ছেলে ফারুক মিয়ার (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তারা সম্পর্ক দাদি-নাতি।
দাদার মৃত্যু পর থেকে দাদি ও নাতির মধ্যে গোপন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা কানাঘুষা চলছিল ।
গত শুক্রবার রাতে দাদি-নাতির অনৈতিক সম্পর্ক ধরা পরে স্থানীয়দের হাতে। এতে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় মাতবররা বিষয়টি মিটমাটের জন্য নানান ফন্দি ফিকির করে দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেন। এতেও কোনো সুরাহা হয়নি।
পরে সোমবার রাতে ৫ লাখ টাকা কাবিন নামায় তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। কাবিনের বিষয়টি কাজী নূরুল্লাহ নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ওই তরুণের বাবা বলেন, ঘটনার পর তিনটা সালিশ হয়েছে। সালিশে মাতব্বরদের পা পর্যন্ত ধরেছি। তারপরেও আমার অবিবাহিত ছেলেকে ৫৫ বছর বয়সী ওই নারীর সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে দিয়েছে।
ওই তরুণের মা বলেন, সালিশে আমি প্রত্যেকটা মানুষের পায়ে ধরে মাফ চাইছি। কিন্তু কেউ আমার কথা শোনেনি। ওই নারীও আমার ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না, তারপরেও জোর করে বিয়ে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিয়ে হয়েছে কি-না তাও বলতে পারব না। আমি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া থানায় কেউ এই বিষয়টি অবগত করেনি।