বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বরাবর ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দাবি না মানলে প্রয়োজনে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ঘেরাও করা হবে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজ যদি কাজ না হয়, এটাও জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ওনার (প্রধান বিচারপতি) বাসস্থানে যাব। ঘেরাও করে বসে থাকব, যতক্ষণ না তিনি আমাদের কথা শোনেন। জনগণের আবেদন না শুনলে ওনার ওই চেয়ারে থাকার অধিকার নেই।
সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাইকোর্ট হলো জনগণের জন্য একটা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। সেখানে প্রবেশে ক্ষেত্রে গেটে তালা লাগিয়ে তারা ভুল করেছেন। হাইকোর্টের দরজা কখনও বন্ধ হতে পারে না। জনগণের বিচারের জায়গা এটি। ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। আমি বলেছি, আপনারা যদি আমাকে ঢুকতে না দেন, দরকার হলে সারারাত আমি ওই গেটে বসে থাকব। আমি মুক্তিযোদ্ধা। কখনো পেছাতে শিখিনি। জয় নিয়েই ফিরব।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা ১৮ জন ব্যক্তি একটা দরখাস্ত করেছিলাম। সেখানে ৫৪ জন ছাত্রের জামিন চেয়েছিলাম। আজ তিন মাস হয়ে গেছে জামিন হয় না। অথচ সৌভাগ্যের বিষয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সাত দিনের মধ্যে জামিন হয়ে গেল। রোজিনার তথাকথিত অপরাধের চেয়েও ছাত্রদের অপরাধ কম।
তিনি বলেন, তাদের অপরাধ, তারা একজন ঘৃণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধিক্কার দিয়েছে। এই কারণে তাদের জেলে দিয়েছে। এই ছাত্রদের জামিন না দেওয়ার থেকে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে? এই কথাগুলো প্রধান বিচারপতিকে জানাতে এসেছিলাম। তিনি (প্রধান বিচারপতি) আজ অফিসে নেই। ওনার প্রতিনিধি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানালাম।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিচারে হস্তক্ষেপ নয়, দীর্ঘসূত্রিতা চাই না। জেলা আদালতে এই মামলাটা আছে, তারা যেন সেখানে রায় দেন। রেজিস্ট্রার জেনারেলের চেহারা-ছুড়ত দেখে মনে হলো তিনি মঙ্গলবার (১ জুন) বিষয়টা জেলা জজের কাছে উত্থাপন করবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে আন্দোলনের সময় আটক ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৪ নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন। প্রথমে তাদের হাইকোর্টের মাজার গেটে আটকে দেয় পুলিশ। পরে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৭ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ ৭ জন। তার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।