বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বিভিন্ন দেশ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোভ্যাক্সের ১০ লাখ টিকা আসবে। কিন্তু অন্য টিকা কবে আসবে তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নন। আলোচনা চলছে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চীনা টিকার দামটি জনসমক্ষে বলে দেওয়ার ফলে চীন একটু নারাজ হয়েছে। এতে টিকা পেতে দেরি হচ্ছে। না হলে আগেই টিকা পাওয়া যেত। আর কত দেরি হবে তা বুঝতে পারছেন না। তবে এ জন্য এ–সংক্রান্ত বিষয়ে সই করে কাগজপত্র চীনে পাঠানো হয়েছে। এখন তারা একটি সময়সীমা জানাবে যে কবে কত টিকা দেবে। এখনো জানায়নি। আশা করছেন এ মাসের মধ্যেই জানাবে।
এ ছাড়া রাশিয়া থেকে টিকা আনার বিষয়েও আলাপ–আলোচনা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজও আলোচনা আছে। আজও জানা যেতে পারে। টিকা কিনে আনার পাশাপাশি দেশে উত্পাদন নিয়েও কাজ চলছে।
চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব সম্প্রতি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের পর এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আকতার প্রতি ডোজ টিকার দাম কত হচ্ছে, সেটিও জানিয়েছিলেন। এই দাম জানানোর পর টিকা নিয়ে কিছুটি জটিলতা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই ১ জুন শাহিদা আকতারকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে অন্য আদেশের মতো জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে সরকারি সূত্রগুলো বলছে, মূলত টিকার দাম জানিয়ে দেওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই তাঁকে ওএসডি করা হয়েছে।
চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ বা সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের দেড় কোটি টিকা কিনতে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় প্রথম চালানে সিনোফার্মের ৫০ লাখ টিকা জুনে দেশে আসার কথা। তিন মাসে সিনোফার্মের কাছ থেকে দেড় কোটি টিকা কিনতে দুই পক্ষের মধ্যে তিনটি চুক্তি সইয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।