রনজিৎ সরকার রাজ বীরগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরে ইট ভাটা মালিক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে মালিকসহ প্রায় ১০ হাজার ভাটা শ্রমিক অংশগ্রহণ করে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ ২০২৫) বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ বন ও জরবায়ূ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, সহ-সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ময়েন উদ্দীন শাহ্, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম রবিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ মোঃ সেলিম রেজা প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জিগজাগ ইট ভাটায় কোন প্রকার হয়রানী বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যাবে না। তা না হলে আমরা ভ্যাট, ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব। কোন ইট ভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে তা বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র ইস্যু/নবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়নপত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেওয়ার বিধান চালু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও ইট ভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা দেওয়ার দাবী করেন তারা।
বক্তারা ভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন ও তা দাবি অবিলম্বে বাস্তাবয়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব বলে হুশিয়ারি দেন তারা।
সমাবেশ থেকে জিগজাগ ইট ভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইট ভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জোর দাবিও জানানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। জেলা প্রমাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেস অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে তিনি জানান, জেলা প্রশাসক আপনাদের সাথে আলোচনা না করা পর্যন্ত কোন ভাটা ভাংচুর বা কোন মালিককে হয়রানী করা হবে না। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মালিকদের দাবী বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন তিনি।