বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : মানুষ মাত্রই চিন্তা করে কীভাবে নাজাত পাওয়া যায়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের সহজ সহজ উপায় কি? কোন আমল করলে সহজে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সামর্থ্য হবে।
সকাল ও সন্ধ্যার যিকর থেকে কয়েকটি বিশেষ নিয়মিত দোয়া যেইগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী, প্রয়োজনীয় ও ফযিলতপূর্ণ আছে। সেগুলো সম্পর্কে সবিশেষ আলোচনা করা হলো।
>>> উসমান বিন আফফান ( রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুল ( সা.) বলেছেন। যেই ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়াটি পাঠ করবে, তাকে কোনো জিনিসের ক্ষতি পৌঁছাতে পারবেনা।
উচ্চারণ: বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিসসামা-ই, ওহুয়াস্ সামী‘উল-আলীম
অর্থ: ‘আল্লাহ্র নামে; যার নামের সঙ্গে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী’। (তিরমিজি, হাদিস-৩৪১০)
>>> হজরত ছাওবান ( রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল ( সা.) বলেছেন:’যে ব্যক্তি দৈনিক সকাল-সন্ধ্যা তিনবার এই দোয়াটি পড়বে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা নিজের ওপর আবশ্যকীয় করে নেন কেয়ামতের দিন সেই বান্দাকে খুশি করানোর।
উচ্চারণ: ‘রাযীতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়াবিল ইসলামী দ্বী-নাও ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’।
অর্থ: আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মাদ ( সা.)- কে নবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। (সুনানে তিরমিজি,হাদিস- ৩০১১)
>>> হজরত মুসলিম ইবনে হারেস তামিমি (রা.) বলেন রাসুল ( সা.) আমাকে কানে কানে বললেন, যখন মাগরিবের নামাজের সালাম ফেরাবে, তখন কারো সঙ্গে কথা বলার আগে এই দোয়াটি সাত বার পড়বে।
উচ্চারণ:’আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্ নার’।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করুন।
অর্থাৎ, যদি কেউ মাগরিবের নামাজ শেষ করে সাতবার এই দোয়াটি পাঠ করে এবং ঐ রাতেই তার মৃত্যু হয় তবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এমনিভাবে যদি ফজরের পর পাঠ করে এবং ঐ দিন তার মৃত্যু হয় তাহলে সে জাহান্নামে থেকে মুক্তি পাবে।
>>> আয়াতুল কুরসী। যে ব্যক্তি এই আয়াতুল কুরসী প্রতিদিন সকালে পড়বে সে বিকাল হওয়া পর্যন্ত জিন্ন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে, আর যে ব্যক্তি বিকালে তা পড়বে সে সকাল হওয়া পর্যন্ত জিন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে
উচ্চারণ: আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম’।
অর্থ: আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তার। কে সে, যে তার অনুমতি ব্যতীত তার কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন।
আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তার জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তার ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে, আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তার জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে,সকাল-বিকাল উপরোল্লিখিত হাদিস সমূহের বিশেষ ফজিলত পূর্ণ দোয়া গুলো আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন।