বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : লকডাউনের মধ্যে দুই সপ্তাহ সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, চলমান লকডাউন দুই সপ্তাহ অনেক বেশি দিন না। এ দুই সপ্তাহের কারণে আপনি যদি ৫০ বছর বাঁচতে পারেন, তাহলে দুই সপ্তাহ ঘরে থাকতে হবে। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করবেন কি-না, সেই সিদ্ধান্ত আপনার নিজের।
মধ্যে দুই সপ্তাহ সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, চলমান লকডাউন দুই সপ্তাহ অনেক বেশি দিন না। এ দুই সপ্তাহের কারণে আপনি যদি ৫০ বছর বাঁচতে পারেন, তাহলে দুই সপ্তাহ ঘরে থাকতে হবে। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করবেন কি-না, সেই সিদ্ধান্ত আপনার নিজের।
লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষকে সহায়তা দিতে বৃহস্পতিবার (৮ জুলােই) ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ড. বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, গুলশান এলাকায় অনেক ট্রাফিক বেড়ে গেছে৷ প্রত্যেকেরই জরুরি কাজ। এই মহামারীতে যদি ১৮ কোটি লোক আক্রান্ত হয়, প্রত্যেকের জন্য হাসপাতালের বেড দেওয়া সম্ভব না।
আইজিপি বলেন, দয়া করে রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না। জরুরি কাজ একটু কমান। এই মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত করব কিনা সেই সিদ্ধান্ত আমাদের।
তিনি বলেন, ঢাকা বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র। এই শহরে কয়েক কোটি লোকের বাস। এর বাইরেও ঢাকার বাইরের আশপাশের এলাকা থেকে কাজের জন্য অনেকেই ঢাকায় আসেন। এই শহরে বৈশ্বিক ধনী লোক থেকে শুরু করে বস্তিবাসীরাও বাস করে। সবাই মিলেই আমরা করোনা অতিমারির দুর্যোগ মোকাবিলা করছি।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। সেসময় খালি হাতে দুর্ধর্ষ পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করেছি আমরা। কারণ আমাদের জাতিগত ঐক্য ছিল। এ করোনা দুর্যোগও আমরা মোকাবিলা করতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং আমাদের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে। যে যেখানে আছি, সেখান থেকে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন এই লকডাউনে যেন কোনো পরিবার কষ্টে না থাকে।
তিনি বলেন, আইসিইউ বানালেই কিন্তু চালানো যায় না। আইসিইউয়ের জন্য বিশেষায়িত ডাক্তার, নার্স দরকার হয় এবং বিশেষায়িত মেডিকেল স্টাফ দরকার। আপনি চাইলে আইসিইউ বেড কিনতে পারবেন। কিন্তু আপনি চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে স্টাফ বানাতে পারবেন না। সম্ভব হলে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ট্যাংক বসিয়ে লাইন করে দেয়া উচিত। তাতে করে একটি ট্যাংক থেকে অনেক রোগী অক্সিজেন নিতে পারবে। আমরা আমাদের হাসপাতাল করেছি। একসময় আমাদের আইসিইউ ছিলো ১০টি। এখন সেটি ৫০টিতে উন্নিত করেছি। এর বাইরেও আমরা প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লাইন দিয়ে অক্সিজেন দিয়েছি। যেটাতে অনেক কম খরচ হয়। আপদকালীন সময়ে সাশ্রয় হয়।