আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৭ জনকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একই সময় সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে আওয়ামী যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমকালে দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এ সময় দু’পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় এলাকাটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। দু’পক্ষের সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি পরস্পরকে দায়ী করেছে।
আহত বিএনপি নেতা মো. খলিলুর রহমান বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে দলীয় অফিস ভাঙচুর করে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিনের দাবি, সারাদেশে জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগের মিছিলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করলে দুপক্ষে মধ্যে সহিংসতা হয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।