ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এছাড়া, এই করোনায় যারা মারা গেছেন, তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। যারা অসুস্থ আছেন, তাদের সুস্থতা কামনা করছি।’
শনিবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো জানাতে মির্জা ফখরুল এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলা নিয়ে কথা বলেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত কেয়ারটেকারের সময়ে গ্যাটকো মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। বেগম খালেদা জিয়াসহ তৎকালীন যে মন্ত্রিসভা ছিলো তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। আমি এখানে বলতে চাই, এই মামলার এফআইআর, চার্জশিট দুইটার কোনও জায়গাতেই কোথাও বেগম খালেদা জিয়া বা জিয়া পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে ন্যূনতম কোনও অভিযোগ নেই।’
তিনি আরো বলেন,‘এই মামলার অন্যতম দুই জন আসামি সৈয়দ তানভীর ও সৈয়দ গালিব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক যে জবানবন্দি দিয়েছেন সেখানেও বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের কোনও সদস্যের নামে কোনও অভিযোগ ছিলো না। বর্তমানে ফ্যাসিস্ট সরকার সেই মামলাকে চলমান রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। কারণ এই বর্তমান সরকার জানেন তাদের অঙ্গুলি হেলনে আদালত আজকে চলছে।’
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই মামলার এখন পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। শুধু চার্জশিট দেওয়া হয়েছে কয়েক বছর পূর্বে। ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর দুইজন অভিযুক্ত ব্যক্তি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতে আবেদন করলে হাইকোর্টের একটি আদালতে ওই আবেদন খারিজ করে সংশ্লিষ্ট রায় দেন। প্রায় তিন বছর পর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট গত ১৩ জুলাই।’
তিনি বলেন, ‘মামলাটি নিম্ন আদালতে বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় তিন বছর পর প্রকাশিত রায়ের উচ্চ আদালতের এই ধরনের মন্তব্যের উদ্দেশ্য বোধগম্য নয় এবং এটা গ্রহণযোগ্যও নয়। এই ধরনের মন্তব্য নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করবে বলে প্রতীয়মান হয়। স্থায়ী কমিটি মনে করে, এই ধরনের মন্তব্য যেকোনও নাগরিকের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পরিপন্থী।’