বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট : বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। গত ২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ঢাকার পিকেএসএফ ভবনে ‘মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ-এর উদ্যোগ’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার dviæK, উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এবং সাবেক সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এতে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) এবং মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিকেএসএফ। সমন্বিত কৃষি ইউনিট-এর কার্যক্রম শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন তানভীর সুলতানা, উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমন্বিত কৃষি), পিকেএসএফ। অনুষ্ঠানে ‘মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ-উদ্যোগ’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন ড. মোঃ আব্দুল মালেক, মহাব্যবস্থাপক (সমন্বিত কৃষি), পিকেএসএফ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেখা যায়, ২০২২-২৩ বছরে বিভিন্ন ফসলের মোট বীজের চাহিদা ১২,১০,৩৫১ টন হলেও বিএডিসি, ডিএই ও বিএমডিএ- এর উৎপাদিত বীজ এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত বীজের পরিমাণ ৩,৬১,২৬৪ মে. টন, যা মোট দেশীয় চাহিদার মাত্র ৩০%। পিকেএসএফ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ফসলের (ধান, সরিষা, ডাল, পেঁয়াজ) বীজ উৎপাদন করছে। সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।