বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৬ জুন করোনায় মৃত্যু ১৪ হাজার ছাড়িয়েছিল। সর্বশেষ এক হাজার মৃত্যু হয়েছে মাত্র আট দিনে। দেশে চলমান করোনা মহামারিতে এটি দ্রুততম সময়ে এক হাজার মৃত্যুর রেকর্ড।
দেশে করোনায় মৃত্যু ১০ হাজার থেকে ১১ হাজারে পৌঁছেছিল ১০ দিনে, গত ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিলে। সর্বশেষ এক হাজার মৃত্যুর আগে, এটিই ছিল দ্রুততম সময়ে এক হাজার রোগী মৃত্যুর রেকর্ড।
আজ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আরও ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি এক দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। দেশে টানা আট দিন ধরে করোনাভাইরাসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত ৩১ মার্চ দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ৯ হাজার ছাড়িয়েছিল। মৃত্যু ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার ছাড়াতে সময় লেগেছিল ৬৭ দিন। ৯ হাজার থেকে মৃত্যু ১০ হাজারে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল ১৫ দিন। আর ১০ হাজার থেকে ১১ হাজারে পৌঁছায় মাত্র ১০ দিনে, গত ১৫ থেকে ২৫ এপ্রিলে।
এরপর ১১ মে করোনায় মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। মৃত্যু ১১ থেকে ১২ হাজার পৌঁছায় ১৬ দিনে। গত ১১ জুন করোনায় মৃত্যু ১৩ হাজার ছাড়ায়। মৃত্যুর সংখ্যা ১২ থেকে ১৩ হাজারে পৌঁছাতে সময় লাগে ৩১ দিন। গত ২৬ জুন করোনায় মৃত্যু ১৪ হাজারে পৌঁছায়। মৃত্যু ১৩ থেকে ১৪ হাজারে পৌঁছাতে সময় লাগে ১৫ দিন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে। দেশে এ বছরের মার্চ থেকে নতুন করে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় টানা বিধিনিষেধ চলছে।
এবার করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় গত ঈদুল ফিতরের পরপরই। ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে রোগী দ্রুত বাড়তে থাকে। পরে তা আশপাশের জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা, মৃত্যু ও শনাক্তের হার কয়েক গুণ বেড়েছে।