এশিয়ার প্রথম সম্পূর্ণভাবে ইন্টিগ্রেটেড ভিসকোজ রেয়ন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান এশিয়া প্যাসিফিক রেয়ন (এপিআর)। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে একটি কাস্টমার মিট আয়োজন করেছে। ‘বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে ভিসকোজ ও লায়োসেলের সম্ভাবনা’ – এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ কাস্টমার মিট অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে টেক্সটাইল খাতের উদ্ভাবনী সম্ভাবনা ও অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন খাতসংশ্লিষ্ট নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা।
লায়োসেলের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার হিস্যায় উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এপিআর। অন্যান্য কৃত্রিম (ম্যান-মেইড) সেলুলসিক ফাইবারের চাইতে বেশি টেকসই লায়োসেল। পোশাক উৎপাদনে লায়োসেলের ব্যবহার বৃদ্ধি বাংলাদেশকে টেকসই টেক্সটাইলের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এ নিয়ে আলোচনায় অনুষ্ঠিত অংশীজনদের সভায় স্পিনার, সোর্সিং হাব এবং ডাউনস্ট্রিম রিটেলারদের মধ্যে থেকে এ খাতের প্রায় ১২০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন ।
এপিআর’র গ্রুপ সেলস হেড সাচিন মালিক বলেন, “কৃত্রিম (ম্যান-মেইড) সেলুলসিক ফাইবারের (এমএমসিএফ) সম্ভাব্য বৃদ্ধির ফলে ফাইবারের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে একটি স্থিতিশীল সরবরাহ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে নেতৃস্থানীয় এমএমসিএফ উৎপাদনকারী হয়ে উঠতে একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এপিআর।”
এশিয়া প্যাসিফিক রেয়নের মার্কেটিং অ্যান্ড ডাউনস্ট্রিম ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট তপন সান্নিগ্রাহি বলেন “ভিসকোজ ও লায়োসেলের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কাজ করতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি। এই অনুষ্ঠানে আমাদের অংশীজনদের অংশগ্রহণ দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সবার সাথে একসাথে কাজ করে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের টেকসই পোশাক শিল্পের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারব আমরা।” তিনি আরও বলেন, “২০১৯ থেকে তুরস্ক, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১৫-২০টি দেশে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠান।”
টেকসই রূপান্তর ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে গুরুত্বারোপ করে একটি বিশ্বমানের ভিসকস স্টেপল ফাইবার উৎপাদন সুবিধা পরিচালনা করে এপিআর, যা নিরাপত্তা, গুণমান ও টেকসই বিকাসের একাধিক নির্দেশিকা পূরণ করে এবং অতিক্রম করে।