বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তবে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে শনাক্ত করোনায় মৃত্যু কমেছে। এদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত ৫ সপ্তাহের সর্বনিম্ন। এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণ হারালেন মোট ১১ হাজার ৮৩৩ জন।
শুক্রবার (৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ মার্চ ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া গত ১৯ এপ্রিল ১১২ জনের সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এটি দেশে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয় ১৬৮২ জন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৩২৯ জনের নমুনা সংগ্রহ ও ১৭ হাজার ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৬টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪১ জন।
মৃত ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯, চট্টগ্রামে ১১, রাজশাহীতে ২, খুলনায় ১, বরিশাল ১, সিলেটে ২ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন। মৃত ৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৩ এবং নারী ১৪ জন। এদের মধ্যে বাসায় মারা গেছেন একজন। বাকিরা হাসপাতালে।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২০ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৫ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। আর প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি।
কিন্তু এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত বছরে এত মৃত্যুর সংখ্যা দেখেনি দেশ। তবে এ বছরই আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড হারে বাড়তে থাকে।