তিনি বলেন, লাখো নয়, কোটি জনতা বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আগামীতে বাংলাদেশের যা ঘটবে তারপরে পৃথিবীর মানুষ শ্রীলংকার কথা ভুলে যাবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার কটুক্তির প্রতিবাদে ওই সভার আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকার বিদ্যুৎ গ্যাস ও পানির দাম বাড়াইছে এর প্রতিবাদ যাতে না করে এজন্য আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাদের গালি দেয়। এজন্য খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপি সব নেতাকে তারা গালি দেবে। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, গালি যাই দেখ-কানে শুনলাম না। তোরে আগে নামাই নেই। তোরে আগে তাড়াই নেই। তারপর সব হবে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ওরা কথা বলা তো দূরের কথা, ওদের বাড়ির কুত্তার জিব্বাও থাকবে না যখন ওরা ক্ষমতায় থাকবে না। তবে এই কাজটা কিন্তু স্বেচ্ছাসেবকদল, যুবদল, বিএনপি করবে না। লাখো জনতা নয়, কোটি জনতা অপেক্ষা করছে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। একথা মিথ্যা না।
আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষমতার বাঘ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা ক্ষমতার বাঘ। আর ক্ষমতা না থাকলে বিড়ালের চেয়েও অধম।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, যে শক্তির জোরে আওয়ামী লীগ নেতারা কথা বলেন, সেটা হলো অবৈধ ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা থেকে নামায় দিলে মাইর দিলেও আর গালি দিবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকসে একাই দেশ ত্যাগ করছে। আমাদের এখানে শেখ হাসিনা একাই দেশ ত্যাগ করবে না । তাদের (আওয়ামী লীগের) উপর থেকে নিচ দেশ ত্যাগ করবে। অবশ্য দৌড়াইয়া কতজন কাঁটাতারের বেড়া পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, শ্রীলংকার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটবে এটা বলছি না। বাংলাদেশে যা ঘটবে তখন পৃথিবীর মানুষ বলবে যে, বাংলাদেশের মতো ঘটনা ঘটবে ( উদাহরণ হিসেবে)। শ্রীলঙ্কার ঘটনা সবাই ভুলে যাবে। কারণ অনেক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এই সরকার দিয়েছে। সর্বপ্রথম তিনি বললেন এদেশকে সিঙ্গাপুর বানাবেন। এখন বাংলাদেশ আজিমপুরের কাছাকাছি।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারকে পদ থেকে বাধ্য করতে হবে। সেই কাজটাই এখন আমাদের জরুরী।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা কেন কথা বলি। আমরা তো নির্বাচনে যাব না। এ নির্বাচন কমিশন পাগল হোক, ছাগল হোক, ভালো হোক, মন্দ হোক। নির্বাচন কমিশন যা কিছু বলে বলুক। তবে একটা কথার উত্তর দিতে হয়। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ভোটের দিন যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসে, তাহলে প্রতিপক্ষ পাল্টা রাইফেল নিয়ে নামবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি তলোয়ার আর রাইফেলই হাতে লই, তাহলে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুম কেন। তার আগে আপনাদের বিদায় করমু।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির নেতা বলেন, সাংবিধানিক পদে থেকে সন্ত্রাসকে উস্কানি দিচ্ছেন তারা। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন।
প্রচার যন্ত্র শেখ হাসিনার পক্ষে কথা বলে দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, প্রচার যন্ত্র ইচ্ছা করেও বলে। আবার চাপে পড়েও বলে। পারলে পরে তাকে দেবী বানায় । মানুষের পর্যায়ে রাখে না।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায় আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।