বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টির শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন বলেও মনে করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪২তম সভার সূচনা বক্তব্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর উদ্যোগ, কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনাসহ আগামী বাজেটে বাস্তবায়ন করতে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রস্তাবের মধ্যে আরও রয়েছে- যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন পণ্য-সেবার উপর ভ্যাট-ট্যাক্স কমানো, করজাল বাড়ানো, করপোরেট কর হার কমানো, সব বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা ইত্যাদি। যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিআই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সভাপতি ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, রোজা সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যকে সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সুলভে বর্ধিত নিত্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে বাজার মূল্যের ভারসাম্য রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার ন্যূনতম কর তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা, কোম্পানি কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ছাড়ের প্রস্তাব করেন তিনি।
এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান আয়কর ও মূসকের আওতা বাড়ানো, সব রপ্তানি খাতকে সমান সুবিধা দেওয়া, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি জোরদার করা, টার্নওভার কর ফিরিয়ে আনা, ভ্যাট আইন সংশোধন করে বাস্তবসম্মত করার প্রস্তাব করেন। এছাড়া তিনি ব্যাংক ঋণ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত খেলাপি না করার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন।