1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
টাঙ্গাইলে কালিহাতী প্রেসক্লাব থেকে শৃংঙ্খলা বিরোধী অভিযোগে তিন সদস্য বহিষ্কার হুয়াওয়ের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে স্বাস্থ্যসচেতনতা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন সংষ্কার ও স্বৈরাচারের বিচার প্রক্রিয়ার সাথে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নাই: আমিনুল হক টাঙ্গাইলে বিশিষ্টজনদের সম্মানে জামায়াতের ইফতারও দোয়া মাহফিল আয়োজন মনোহরদীতে উপজেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অভিযান অব্যাহত আমরা বিশ্বাস করি অন্তরবর্তীকালীন সরকার নির্বাচন নিয়ে নয় ছয় করবে না — কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু ভান্ডারিয়ায় দুই দশক পর বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত দাউদকান্দির আলোর দিশারী মানবসেবা সংগঠনের দুইশো পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দিনাজপুর বীরগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ গভীর রাতে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে ৩ ডাকাত গ্রেফতার

ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির কোন বিরোধ নেই : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ১৪৬ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন ১ বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার কয়েকটি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেছেন, ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির কোন সংঘাত বা বিরোধ নেই।

তিনি বলেন, “কিছু লোক ধর্মের সঙ্গে সংস্কৃতির বিরোধ সৃষ্টি করতে চায়। এটা মোটেও সঠিক নয়। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা একসঙ্গে উৎসব পালন করে থাকি।”

প্রধানমন্ত্রী বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ৮টি জেলায় নবনির্মিত শিল্পকলা একাডেমি ভবনের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ সব কথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। কুষ্টিয়া,খুলনা, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও রংপুর জেলার নবনির্মিত শিল্পকলা একডেমিগুলোওে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল।

বক্তৃতার প্রারম্ভে প্রধানমন্ত্রী দেশে এবং বিদেশে অবস্থানকারি সকল বাংলাদেশীদের পবিত্র মাহে রমজান, আগামীকালের বাংলা নববর্ষ এবং আসন্ন ঈদুর ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানান।

১৪১৪ সালে বাঙালির বর্ষবরণ ১ বৈশাখ উদযাপনে বারবার বাধা দেয়া এবং রমনা রটমূলে বোমা হামলার প্রসঙ্গ স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এগুলো করাই হয়েছিল যাতে করে আমাদের সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ হয়ে যায়।

আজ আমরা ১ বৈশাখ উদযাপন করি। এই একটা উৎসব ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এক হয়ে এক সঙ্গে উদযাপন করে। যেখানে সকলের একটা চমৎকার মিলনমেলা হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের যেখানেই বাংলাদেশীরা আছে তারাই এই উৎসব পালন করে যাচ্ছে।”

তিনি করোনার জন্য সতর্কতার সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাঙালির প্রাণের উৎসব ১ বৈশাখ উদযাপনের আহবান জানান।

সরকার প্রধান বলেন, “আমাদের এই ঐতিহ্য আমাদেরকেই ধারণ করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এটা চর্চা করতে পারে, বিকশিত করতে পারে এবং আধুনিক প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে যেন এটার আরো উৎকর্র্ষ সাধণ করতে পারে সেদিকে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। সেটা আমরা দিব।”

প্রধানমন্ত্রী আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সকল ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, “কেবল সকল ধর্মের মানুষের ধর্ম চর্চা নয় দেশের যে ক্ষুদ্র ন-ৃগোষ্ঠী রয়েছে তাদেরও সংস্কৃতি চর্চা বিকাশের ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে।”

তিনি বলেন, “এগুলো আবহমানকাল থেকেই আমাদের দেশের চলে আসছে, এগুলোর দিকেও আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। যে গুলো আমরা ভূলবোনা। তবে, সামনে এগিয়ে আধুনিক সংস্কৃতিকেও আমরা রপ্ত করবো।”

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর বক্তৃতা করেন এবং বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী স্বাগত বক্তব্য দেন।

অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নবনির্মিত ৮টি শিল্ককলা একাডেমি ভবনের ওপর একটি তথ্যচিত্রও অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, “আমরা বাঙালি আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা এবং যে সংস্কৃতি রয়েছে সেটা যেন আরো উজ্জীবিত এবং বিকশিত হয় সেভাবেই কাজ করতে হবে।”

আমাদের দেশের মানুষরা সাধারণত সংস্কৃিতমনা উল্লেখ করে তিনি উদাহারণ টানেন-আমাদের দেশে নৌকার মাঝিও নৌকা চালাতে চালাতে গান ধরে, এক সময়ে গরুর গাড়ির প্রচলন ছিল এবং সে সময়ে মরমী শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের ‘ওকি গাড়িয়াল ভাই’ গানের সুর আজও হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আধুনিক যুগে সে সব হারিয়ে যেতে বসেছে তবুও সেগুলো শিল্পীর শিল্পে উজ্জীবিত হয়ে রয়েছে। কাজেই আমাদের এই সাংস্কৃতিক চর্চাগুলো অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ঐতিহ্য যেমন আমরা ভূলবোনা আবার যুগের সাথে তাল মিলিয়েও চলতে হবে। আধুনিক যুগের যে সংস্কৃতি তার সঙ্গে যেন আমাদের ছেলে-মেয়েরা তাল মিলিয়ে চলতে পারে বা সেই সংস্কৃতিও যেন রপ্ত করতে বা চর্চা করতে পারে সেজন্য আমাদের ঐতিহের সাথে আধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক জ্ঞান অর্জন করাও একান্তভাবে দরকার।” সূত্র: বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com