বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে নিহত যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম শাওনের (২৬) জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার বাদ মাগরিব পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি কার্যালয়ের সামনে আসে। জানাজে শেষে শাওনের মরদেহ নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
শাওনের মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় নয়াপল্টনে যুবদল বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
জুমার পর জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও ময়নাতদন্তে দেরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। মাগরিবের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী উলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক জানাজা পরিচালনা করেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮.৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
এ সময় ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে পুলিশের এএসপি, সদর থানার ওসিসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। অন্যদিকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন শাওন।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিলো জেলা বিএনপি।
শাওন ভূঁইয়া সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার তোয়াব আলীর ছেলে। শাওন পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন শাওন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলা মীরকাদিম পৌর যুবদলের ৮ নং ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।