বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র কিনলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকার। আজ সোমবার বেলা পৌনে ১২টায় জেলা নির্বাচন অফিস থেকে তিনি নিজে মনোনয়ন পত্র কেনেন। এর আগে, তিনি ফতুল্লার মাসদাইর গোরস্থানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেনে, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার সাথে একসাথে জেল খেটেছি। আপনাকে অনুরোধ জানাব নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবেন না- নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
এসময় নারায়ণগঞ্জের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীরসহ চার এমপিকে উদ্দেশ্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘কোন রকম আচরণ বিধি লঙ্ঘন করবেন না। আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কোন প্রভাব বিস্তার করলে আইনের হ্যান্ডকাপ পড়ানো হবে। দেশের প্রচলিত আইনে এই আইনের হ্যান্ডকাপ আপনাদের পড়তে হবে।’
এসময় শামীম ওসমান ও আইভীর দিকে ইঙ্গিত করে তৈমুর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে মেয়র আর এমপি মুখোমুখি। তাদের বিরোধের কারণে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। তাই জনগণের উন্নয়ন করার জন্য মেয়র পদে নির্বাচন করবো।’
ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম একটি চুরির বাক্স আমরা ইভিএমে ভোট চাই না।’ নিজের উপার্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ওকালতি করে কামাই করি, কোর্ট প্রাঙ্গনে আমি ন্যূনতম কোনো দুর্নীতি করি নাই- এটা সবাই বলতে পারবে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার মার্কা হবে জনগণের মার্কা, স্লোগান হবে ‘নিজের খাইয়া তৈমুর’।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘মরণ যদি আসে আল্লাহর নাম নিয়ে যেন মরতে পারি আল্লাহর সন্তুষ্টি নিয়ে যেন মরতে পারি।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন,‘ খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেন। তাহলে আপনার নাম ইতিহাসের পাতায় সাক্ষী হয়ে থাকবে।’
নারায়ণগঞ্জের আপামর জনতার দাবির প্রেক্ষিতে মেয়র পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জানিয়ে তৈমুর বলেন, ‘কর্তব্য এবং দায়িত্ববোধ থেকে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত ৫০ বছর ধরে আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে ছিলাম। তাদের জন্য কাজ করেছি। বস্তির লোকজন থেকে শুরু করে ঠেলাগাড়িওয়ালা দিনমজুরের জন্য কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৩, ২০১১ ও ২০১৬ সালে দল থেকে আমাকে নির্বাচন করার জন্য মনোনিত করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে আমার নির্বাচন করা হয়নি। এবার সব মহল থেকে দাবি এসেছে আমি যাতে নির্বাচন করি। জনতার সে দাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমি নির্বাচনে নেমেছি।’ তৈমুর বলেন, ‘একসময় যারা নারায়ণগঞ্জের মানুষকে আগলে রাখতেন তাদের অনেকে আজ বেঁচে নেই। আমি তৈমুর আলম খন্দকার বেঁচে আছি। আমি মনে করি, নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য আমার কিছু করা দরকার।’