বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা মামলার আসামি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং কুঞ্জ ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মাহমুদের (৬৫) তিন নারী সহযোগীকে মাদক মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে, একই মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমির দুই সহযোগী বাছির মিয়া ও মশিউর রহমানের প্রতারণার মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া তিন নারী হলেন লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)। তাদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী মুহাম্মদ জুয়েল জামিন আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রোববার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত ১৫ জুন আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিন নাসির উদ্দিন এবং তুহিন সিদ্দিকী অমির (৩৩) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা বর্তমানে রিমান্ডে রয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জুন তুহিন সিদ্দিকী অমির দুটি রিক্রুটিং অ্যাজেন্সিতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে দুই শতাধিক পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। পাসপোর্ট জব্দের পর অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। ওই মামলায় গত ১৬ জুন জামিন হওয়া দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আজ শনিবার রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি আবদুল বাতেন তাদের জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৪ জুন দুপুরে সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওই দিনই নাসির উদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনকে উত্তরার একটি বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। পরের দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার শিকদার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।