বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ২০২১ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। আর এক দিন পরই ২০২২-কে স্বাগত জানানোর পালা। পুরোনো ব্যর্থতা, সব গ্লানি ভুলে নতুনের পথে পা বাড়ানোর অপেক্ষায় সবাই। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলও সেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে। নতুন বছরের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। মাউন্ট মঙ্গানুইতে কিউইদের আতিথেয়তা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত মুমিনুল, মুশফিকরা।
ব্যাট-বলে সন্তোষজনক প্রস্তুতি নেওয়ার পর মূল মঞ্চে মাঠে নামার অপেক্ষায় চনমনে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক টম ল্যাথাম দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেছেন।
দলের অপারেশন্স ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলেছেন, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় (কোভিড) শুরুতে আমরা পরিকল্পনামাফিক চলতে পারিনি। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা ওভারকাম করে বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। সেখান থেকে শতভাগ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা রান করেছে। বোলাররা উইকেট পেয়েছে। ওভারঅল প্রস্তুতি থেকে আমাদের ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়রা সন্তুষ্ট।’
নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান রাজা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম আসরে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। দ্বিতীয় আসরে তাদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ২ ম্যাচে একটি হেরেছে, একটি ড্র। বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে পূর্ণ ২৪ পয়েন্ট পেতে মুখিয়ে তারা।
নাফিস আরো বলেছেন, ‘এখানের কন্ডিশন আমাদের দেশের থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। তাছাড়া নিউ জিল্যান্ড আমাদের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। তারা নিজেদের দেশের মাটিতে দারুণ পারফর্ম করে সব সময়। আমরা সেই চ্যালেঞ্জটি নিতে মুখিয়ে আছি। গতকাল আমাদের ভালো একটি টিম ডিনার হয়েছে। সেখানে ছেলেদের দেখে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। আশা করছি তাদের থেকে ভালো একটি ফল আসবে।’
নিউ জিল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যে কোনো ফরম্যাটে ৩২ ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্ট খেলেছে ৯টি। ৫টিতে ইনিংস ব্যবধানে হার। হতশ্রী পারফরম্যান্সে আলো ছড়ায় ২০১৭ সালের ওয়েলিংটন টেস্ট। সেবার প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের বাইরে এটি বাংলাদেশের টেস্টে সর্বোচ্চ রান। সাকিব ক্যারিয়ার সেরা ২১৭, মুশফিক ১৫৭ রান করেন। তাদের জুটি ছিল ৩৫৯ রানের যা এখনও রেকর্ড বুকে জ্বলজ্বল করছে। জবাবে নিউ জিল্যান্ডকে বাংলাদেশ আটকে দেয় ৫৩৯ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে পায়নি ইমরুল ও মুশফিককে। দুজনই বলের আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন। দ্বিতীয় ইনিংস ভালো না হওয়ায় ম্যাচটা এক সেশন আগে হেরে যায় অতিথিরা। তবুও বাংলাদেশের কাছে ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে আছে। যে লড়াই থেকে এবারো বাংলাদেশ পাচ্ছে অনুপ্রেরণা।
মাঠে নামার আগে নিউ জিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করেছে বাংলাদেশ। দুই পেসার তাসকিন ও রাহী আগুন ঝরিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম ফিফটি পেয়েছেন। তবে নিয়মিত একাদশের দুই ক্রিকেটার সাদমান ও মুমিনুল ছিলেন বিবর্ণ।
পরাজয়ের ব্যর্থতা ভুলে সুখস্মৃতি মনে রেখেই বাংলাদেশ মাঠে নামতে মুখিয়ে আছে।