বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিজয়ী প্রার্থী মোহাম্মাদ এ আরাফাত যেন শপথ গ্রহণ না করতে পারেন এমন দাবি তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ভোটে জালিয়াতি হওয়ার অভিযোগ এনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্পিকারকে এই অনুরোধ করেন উপ-নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া স্বতন্ত্র এই প্রার্থী। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজসহ আপিল করেন বলে জানান হিরো আলম।
হিরো আলম বলেন, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হয় নাই। সেদিন তারা জাল ভোট দিয়েছে। আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে যে, ১২ বছর থেকে ১৩ বছরের ছেলে-মেয়েরা ভোট দিচ্ছে। একটা মেয়ে ১০ থেকে ১৫টা ভোট দিয়েছে। তাদেরকে জোর করে ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজ সহকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছি। আমরা এই ফলাফল বাতিল চাই।
পুনরায় নির্বাচনের জন্য এখানে এসেছি।
সবাইকে ভিডিও ফুটেজ দেখার অনুরোধ করে হিরো আলম বলেন, মন্ত্রিপরিষদকে ও স্পিকারকে বিনীত অনুরোধ করবো আরাফাত ভাই যাতে শপথ গ্রহণ না করতে পারেন। কারণ মানুষের স্বাক্ষী-প্রমাণের ওপর সবকিছু নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজ আপনারা সবাই দেখবেন।
আলোচিত এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিতে পারেন। এজন্য এখানে আপিল করলাম। আপিলের শুনানি দেখার অপেক্ষায় আছি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের কথায় হিরো আলম দুঃখ পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে নিরাপত্তা তারা দেয় নাই। আমি জীবন বাঁচানের জন্য যখন বিজিবির গাড়ির পাশে গেলাম একটা লোকও কিন্তু নামে নাই। ডিএমপি কমিশনার ফারুক সাহেবের কথা দুঃখজনক, ব্যথাজনক। কারণ তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা হয়েছে।
নেত্রকোনা -৪ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট করবেন না জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ঢাকা শহরে থাকি বলে নির্বাচন করছি। অন্য জায়গায় কেন নির্বাচন করবো?
এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নাই দাবি করে হিরো আলম বলেন, এ সরকারের অধীনে তিনটা নির্বাচন করলাম। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি তখন কিন্তু মার খেয়েছি। ২০২৩ সালে বগুড়া উপ-নির্বাচন করে সেখানেও মার খেলাম। এখানে (ঢাকা-১৭) এসেও মার খেলাম। তাহলে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে আশা করি?
মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য তার নির্বাচনের উদ্দেশ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কতটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তা জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্য অন্যায়ের প্রতিবাদের মশাল হিসেবে জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। এর বাইরে কিছু না।