আসলাম ইকবাল : বাংলাদেশী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ- “নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” এর অত্যন্ত প্রত্যাশিত উদ্বোধন। নৃত্যশিল্পী, নবগঠিত সংগঠনের সভাপতি, লায়লা হাসানের যোগ্য নেতৃত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের, জহুর হোসেন চৌধুরী কক্ষে ২৩ মার্চ, বিকাল ৩টা সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। নৃত্যুশিল্পী ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য দেশের সমৃদ্ধ শৈল্পিক উত্তরাধিকার, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যশৈলীর ক্ষেত্রে একটি প্রচার ও প্রসারের মাধ্যম হিসেবে কাজ করা। প্রতিভা লালন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং শৈল্পীক উদ্ভাবনের প্রতি অটুটু প্রতিশ্রুতিসহ, ফাউন্ডেশন নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রাফার এবং উৎসাহীদের জন্য একটি প্রাণবন্ত মঞ্চ প্রদান করার চেষ্টা করেব। উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পটভূমিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত উপস্থাপন করে। ফাউন্ডেশনের সভাপতি মন্তব্য করেন, “আমরা নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দিতে পেরে আনন্দিত, এটি একটি দূরদর্শী উদ্যোগ যা আমাদের জাতির সাংস্কৃতিক ভুদৃশ্যকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে প্রস্তুত। সহযোগী প্রচেষ্টা এবং অটল উৎসাহের মাধ্যমে, আমরা বাংলাদেশী নৃত্যের সৌন্দর্য, সৃজনশীলতা, অন্তর্ভুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করার আকাক্সক্ষা করি।” সম্মেলনের প্রারম্ভে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, দীপা খন্দকার, নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশর ইশতেহার ও গঠনতন্ত্রের সার বক্তব্য পেশ করেন। সহ-সভাপতি লুবনা মারিয়াম সংগঠনের চারটি প্রধান ফোকাসের বিশদ বর্ণনা করেন, যেগুলি হল ১. নৃত্য শিক্ষা, ২. গবেষণা এবং নথিকরণ, ৩. শৈল্পিক সৃষ্টি ও উপস্থাপনা এবং ৪. নৃত্যের সমর্থন ও অর্থায়ন। তিনি নৃত্যশিল্পী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য সবাইকে স্বাগত জানান। ফাউন্ডেশনের পরিকল্পিত আসন্ন অনুষ্ঠান সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র নৃত্যশিল্পী নিলুফার ওয়াহিত পাপড়ী। জনপ্রিয়, তরুণ নৃত্যাশিল্পী মেহবুবা মাহনূর চাাঁদনী সংগঠনের অনলাইন পত্রিকা, ‘নৃত্য প্রবাহ’ প্রকাশ করেন। এরপর সিনিয়র নৃত্যশিল্পী কবিরুল ইসলাম রতন ৪৩ জনের কমিটির নাম ও সংগঠনের উপস্থিত সদস্যদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আগে সংগঠনের লোগোটি উন্মোচন করেন। লোগো তৈরী করেন চিত্রশিল্পী বিপ্লব সাহা। তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মৌ ও তারিন সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। ছবিঃ মোস্তাফিজ মিন্টু।