বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকার টিকিট পাওয়া ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বাতিল হয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মনোনয়নপত্র। আজ রোববার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ঝালকাঠির দুটি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাহ গুল নিঝুম দুটি আসনের সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন। মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে আটজনের।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম)। বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর প্রথমবারের মতো তিনি আজ ঝালকাঠিতে যান। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের তার সঙ্গে দেখা গেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ১১ জনের মধ্য ৬ জন ও ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে ৪ জনের মধ্যে ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিলের তালিকায় আছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রথম তালিকায় থাকা বর্তমান সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, কৃষি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (স্বতন্ত্র), জাতীয় পার্টির মো. এজাজুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আবুল কাশেম ফখরুল। ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. নাসির উদ্দিনের। ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংসদীয় এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাহ গুল স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে স্বাক্ষর করা ১০ জন ভোটারের মুঠোফোনে কল দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন কি না জানতে চান।
তালিকায় গরমিল পাওয়ায় চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির দুটি আসনের দুই প্রার্থী আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।