মোঃনুহু ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার : ২২ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলার বহুল কাংখিত গলাচিপা সেতুটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে একনেকে অনুমোদন হয়েছে এবং প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় গলাচিপা সেতু। কাজটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর। সর্বশেষ সংশোধনীতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি টাকা।
পটুয়াখালীর রামনাবাদ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগীয় সদর ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে গলাচিপা উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ আরও সহজতর হবে রামনাবাদ নদীর উপর প্রস্তাবিত গলাচিপা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে। প্রতিদিন এই নদী থেকে ফেরি পারাপার হয়ে জেলা, বিভাগ ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে শতাধিক যানবাহন।
ফেরি ও ট্রলারে পারাপারে সময় নষ্টের পাশাপাশি নানামুখী ভোগান্তি পোহাচ্ছে বিভাগীয় শহর ও রাজধানী গামী যাত্রীরা। মুমূর্ষু রোগীদের এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ফেরি পারাপারের জন্য। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক প্রস্তাবিত গলাচিপা উপজেলার রামনাবাদ নদীর ওপর গলাচিপা সেতু নির্মাণ ৫২১ কোটি টাকা প্রাক্কালিত ব্যয়ে জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৫ সালে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও এখনো সেতু নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় উৎকন্ঠায় দিন পার করছেন গলাচিপা উপজেলার মানুষ।
একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে দিন যাপন করতে হচ্ছে গলাচিপা সহ পার্শ্ববর্তী রাঙ্গাবালী ও দশমিনা উপজেলার ১০ লাখ মানুষের। তিন উপজেলার মানুষের বহু বছরের লালিত স্বপ্ন গলাচিপা নদীর ওপরে গলাচিপা সেতু নির্মিত হবে।
ভক্সপপঃ স্থানীয় সাধারণ জনতা মোঃ হারুন
ভক্সপপঃ এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মোঃ সোহাগ
ভক্সপপঃ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবদুল হালিম
ভক্সপপঃ গণ অধিকার পরিষদ গলাচিপা উপজেলা শাখার আহবায়ক হাফিজুর রহমান
ভক্সপপঃ বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান
ভক্সপপঃ জামাত ইসলাম বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইহাইয়া খান
সিংকঃ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে রাঙ্গাবালী, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সাথে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন আসবে। সারাদেশের সাথে চালু হবে ফেরি বিহীন সড়ক যোগাযোগ। এ সেতু নির্মাণ করা হলে ভ্রমণ সময় হ্রাসসহ যানবাহন পরিচালন ব্যয় বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৩৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এই অঞ্চলের ১০ লাখ মানুষের কমবে পথ, বাঁচবে সময়। দেশের অর্থনৈতিতে অপার সম্ভাবনায় রূপান্তরিত হবে এই অঞ্চলগুলো।