এস এম শামীম আহমেদ পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি : ৫ আগস্ট পরবর্তী হাসিনা সরকারের পতন এবং দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও শেখ হাসিনা,সরকারের দিনগুলোতে পটুয়াখালী বাস মিনি বাস মালিক সমিতির, শ্রমিক ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করেন সভাপতি স্বপন খন্দকার ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন রনি মৃধা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ যখন মুক্ত হয় ফেসিস্ট সরকারের জোর জুলুম থেকে, পালিয়ে যান ওই সরকারকে সহযোগিতা কারি নেতাকর্মীরা তখন, দেশে বিভিন্ন জেলায় বিতরণ করা হয় মিষ্টি, তবে পটুয়াখালী বাস মিনি বাস মালিক সমিতির, শ্রমিক ইউনিয়ন, এখনো দখলে রয়েছে সেই ফেসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতাদের দখলে, ফলে বিগত সরকারের ধারাবাহীকতা রক্ষা করেই সে একই কায়দায় এখন ও চলছে নিরব চাঁদাবাজি, আর সেট অকপটে স্বীকার ও করলেন সেই সকল টাকা আদায়কারী ব্যাক্তিরা।
এ বিষয় একাধিক শ্রমিকরা জানান যে আওয়ামী লীগের দখলে শ্রমিক ইউনিয়ন টি থাকায় প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা, নামে বেনামে নেয়া হয় চাঁদা, সেই চাঁদা কালেকশনে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়, প্রশাসনের নজর ফাকি দিয়েই মূলত এ চাদার টাকা সংগ্রহ করে থাকেন একটি মহল, এদিকে চাঁদাবাজির দৃশ্য তুলে ধরার জন্য ছদ্মবেশ ধারণের মাধ্যমে তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়।
সাধারণ শ্রমীকরা জানায় শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানার ব্যবহার করে একটি কুচক্রী মহল এ চাদার টাকা তুলে বিভিন্ন মহলে ভাগ বাটোয়ারা করে বাসস্ট্যান্ডকে লুটে পুটে খাচ্ছে। এ বিষয় অধিকতর খোঁজখবর নিলে জানা যায় সকলের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন মরহুম ফজলু মৃধা। এই নেতার মৃত্যুর পরে শ্রমিকদের নিয়ে ভেবেছে এমন কোন নেতা পরবর্তীতে পটুয়াখালী বাস মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকেরা পায়নি।
তবে বর্তমানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন সভাপতি খলিল, তিনি পটুয়াখালীর স্থানীয় বাসিন্দা নন তার বাড়ি জানা গেছে বরিশালের কাউয়ার চর এলাকায়, কিভাবে তিনি পটুয়াখালী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হলেন সেটা সকলেরই অজানা এমনকি এ বিষয় কেউ কোন কথা বলতে ও রাজি নয়।
এদিকে উক্ত ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের আমলে যিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন, তারই সন্তান এখন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে, দেশ জুড়ে যখন চলছে সংস্কার করা হচ্ছে পরিবর্তন, ঠিক তখন উল্টো চিত্র পটুয়াখালী বাস মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের।
যে কারণে নামে বেনামে হচ্ছে চাঁদাবাজি, যেকোনো গাড়ি এই বাস টার্মিনালে রাতের বেলায় রাখতে হলে গাড়ী প্রতি দিতে হবে ১০০শত টাকা চাঁদা, অন্যথায় গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি ও লুটপাট করে একটি চক্র ,ফলে বাধয হয়েই গাড়ীর মালিকদের এ চাদার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। এ চাদার টাকা উত্তলন ও ভাগবাটোয়ারা করার জন্য কথিত নৈশ প্রহরী সোহাগের মাধ্যমে টাকা উত্তলন করা হয়। পরবতীতে মূল হোতাদের মাধ্যমে সেই টাকা বিভিন্ন জনের পকেটে যায়।
এ বিষয় নৈশ প্রহরী সোহাগের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি সহ বেশ কয়েকজন রাতে এবং দিনে স্টানে পাহারা দিয়ে থাকি আমাদের একটা বেতন আছে আর সেই টাকা আমরা গাড়ী প্রতি ১০০ টাকা করে তুলে ভাগ বাটোয়ারা করে নেই। তবে এ বিষয় তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয় শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সভাপতি খলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সরাসরি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন রাতে পাহারাদার আছে বিধায় গাড়ীগুলো নিরাপদে থাকতে পারে অন্যথায় গাড়ীর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যেতো।
সাধারণ মানুষ বলছে এখানে প্রতি রাতে কমপক্ষে ৩০-৫০টি গাড়ী থাকে ১০০টাকা করে নিলে কত টাকা হয়, এগুলো কোথায় যায় এবং এর ভাগবাটোয়ারা কারা পায়, এ বিষয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন, সেই সাথে অবৈধ এ সব বানিজ্যের সাথে জরিত ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় আনারও দাবী জানান।