বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপির সঙ্গে জায়েদ খানের প্রেমের গুঞ্জন ছিল দীর্ঘদিনের। এফডিসির নির্বাচনের আগে জায়েদের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে পপি কথা বলেন। এতে তাদের দুজনের সম্পর্কের ফাটলের বিষয়টি প্রকাশ্য আসে।
এদিকে প্রায় তিন বছর ধরে অন্তরালে ছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা পপি। শোনা যাচ্ছিল বিয়ে করে সংসার করছেন এ অভিনেত্রী। তবে সেই গুঞ্জন শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।
হঠাৎ করে নায়িকার আড়ালে যাওয়ার রহস্য খুঁজতে বেরিয়ে আসে তার গোপন সংসার ও সন্তান জন্মের খবর। ২০২১ সালের অক্টোবরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পপি। তার বিয়ের খবর ও সন্তান জন্মের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে।
পপির স্বামী ও সন্তান প্রকাশ্যে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্পী সমিতির দুবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খান বলেন, এটি নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। মানুষ ক্লিয়ার হয়ে গেছে। পপি ইস্যুতে আমার বিরুদ্ধে কত মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। আমি নাকি পিস্তল ঠেকিয়েছি? আরও কত অভিযোগ। অথচ আজকে স্বামী ও সন্তান নিয়ে সুন্দর সংসার করছে পপি। মূল কথা হলো— আল্লাহ আমাকে ভালোবাসেন। সত্যটা সামনে চলে এসেছে। পপির জন্য শুভকামনা। পপি স্বামী ও সন্তান নিয়ে সুন্দর ও ভালো থাকুক। আমার সঙ্গে আল্লাহতায়ালা আছেন, আমার সঙ্গে বাবা-মায়ের দোয়া আছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মার্ডার কেসের আসামিও করা হয়েছিল। সেটিরও সত্য উন্মোচিত হয়েছে।
পপির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পপি তার সন্তানের নাম রেখেছেন আয়াত। তার সন্তানের বয়স দুই বছর। আর পপির স্বামীর নাম আদনান উদ্দিন কামাল। তিনি জান্নাত গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তার রয়েছে জাহাজের ব্যবসা। তিনি লালবাগ কাজী রিয়াজ উদ্দিন রোডের বাসিন্দা।
বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে ধানমন্ডিতে বসবাস করছেন পপি। এর আগে উত্তরায় বসবাস শুরু করলে অনেকেই সে ঠিকানা জেনে গেলে দ্রুত ঠিকানা বদল করেন। এটি পপির প্রথম বিয়ে হলেও তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে। আদনানের প্রথম সংসারে এক পুত্রসন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি আদনান কামালের ফেসবুকেও সন্তানকে নিয়ে ছবি পাওয়া গেছে।
স্বামীর পরিবার পপিকে এখনো মেনে নেয়নি। নায়িকারও তার নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মাঝে ছোট বোন সুমির সঙ্গে দেখা কিংবা যোগাযোগ হলেও এখন সেটিও বন্ধ। অনেকটা বাসাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন পপি। নেই পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ।