গত রোববার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে বিজয় সরণির ট্রাফিক সিগন্যালের যানজটে আটকা পড়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে বহনকারী গাড়িটি। তখন গাড়ির গ্লাস খুলে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন মন্ত্রী। এ সময় হঠাৎ এক ছিনতাইকারী মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ব্যক্তিগত সহকারী কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, পরিকল্পনামন্ত্রীর মুঠোফোন ছিনতাইয়ে একজনকে চিহ্নিত করা গেছে। তার নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি রাস্তার মুখে স্থাপিত উড়োজাহাজের ভাস্কর্যের নিচে ঘুমাত। তাকে ধরতে এখন অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীর বিজয় সরণি, তেজগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, কাফরুল এলাকার ১০-১২ জনের মতো চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ ছাড়া চন্দ্রিমা উদ্যানের ভেতরের টোকাই-ছিনতাইকারী, শেরেবাংলা নগর মাঠসংলগ্ন এলাকার টোকাই, আগারগাঁওসহ আশপাশ এলাকার স্থানীয় এবং সন্দেহভাজনদের থানায় আনা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও মুঠোফোনের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘটনাস্থল বিজয় সরণির উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। পুলিশ আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করে বিশ্লেষণ করেছে। কিন্তু কিছুই পায়নি। বিজয় সরণির উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের কাছে ও নভোথিয়েটারের সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকে। এর মধ্যেও এমন ঘটনা ঘটল।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নয়। কোনো হেরোইনসেবী সুযোগ বুঝে ছোঁ মেরে মুঠোফোনটি নিয়ে চলে যায়। মন্ত্রী নতুন করে সিমকার্ড তুলে চালু করায় ওই নম্বর দিয়ে ট্র্যাক করতে গেলে ফোনটির অবস্থান বারবারই তার (মন্ত্রী) কাছেই দেখাচ্ছে। আর ছিনতাই হওয়া মুঠোফোনের সেটটি বন্ধ থাকায় ছিনতাইকারীর অবস্থান নিশ্চিত হতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিমুজ্জামান আজ রাতে জানান, পরিকল্পনামন্ত্রীর মুঠোফোন উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।