বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির আরো দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। একই মামলায় তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুরও দু’রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চার দিনের রিমান্ড শেষে বনানী থানার মাদক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ। চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ (১০ আগস্ট) তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে সিআইডি।
৫ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরীমণি ও দীপুর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে আবদুল্লাহ আবু বলেন, মামলার আসামি পরীমণির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য ২ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা। এই মাদক কোথা থেকে আসল? তার উৎস কী? কে এই মাদক পাঠাল? মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সুরভি বলেন, তার (পরীমণির) বাসা থেকে যে সাড়ে ১৮ লিটার মদ উদ্ধার দেখানো হয়েছে, তা তার বাসায় ছিল না। তার বাসায় কয়েকটি খালি মদের বোতল ছিল। সেগুলো ডেকোরেশন পিস হিসেবে রাখা ছিল। এগুলো জব্দ তালিকায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, তার কাছে কোনো আইস এবং এলএসডি ছিল না। আমরা তার জামিন চাই।
এর আগে, বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাুব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেয়া হয় র্যাধবের সদর দফতরে। বুধবার রাতভর সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে। বৃহস্পতিবার র্যা ব-১ মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা দায়েরের পর সেদিনই তাকে আদালতে নেয়া হয়।