বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বলিউড-টালিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মৃত্যুর মিছিল যেন চলছে। একের পর এক অভিনেত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হচ্ছে। এবার ভারতীয় অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং মডেল বিদিশা দে মজুমদারের পর এবার টলিপাড়ার আরও এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পাটুলির বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
অভিনেত্রী পল্লবী দের অস্বাভাবিক মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই টালিউডের আরেক অভিনেত্রী বিদিশা দের মৃত্যুর খবর ভেসে আসে। দুজনের মরদেহই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
এবার একই কায়দায় মারা গেলেন মঞ্জুষা নিয়োগী নামের আরও এক অভিনেত্রী। শুক্রবার সকালে কলকাতার পাটুলির একটি বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে অনেক ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেননি মঞ্জুষা। এর পর দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় মঞ্জুষার দেহ ঝুলছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দ্রুত এসে মঞ্জুষার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিদিশার মৃত্যুর পর আত্মহত্যা করেছেন মঞ্জুষা— এমনটিই দাবি অভিনেত্রীর পরিবার ও বন্ধুরা।
প্রয়াত মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের বন্ধু ছিলেন মঞ্জুষা। বিদিশার মৃত্যুর পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন মঞ্জুষা। তিনি বলেছিলেন, ‘আমিও বিদিশার মতো করব’।
মঞ্জুষার মা বলেন, ‘বিদিশার মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই অবসাদে ছিলেন মঞ্জুষা। বারবারই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনিও বিদিশার পথে হাঁটতে পারেন! বৃহস্পতিবারও মঞ্জুষা ফটোশুট করতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ফিরেই গলায় ফাঁস দেন। ’
বিবাহিত ছিলেন মঞ্জুষা। মঞ্জুষার মা জানান, বৃহস্পতিবার মঞ্জুষার স্বামী তাকে নিতে এলে সঙ্গে যাননি তিনি। উল্টো সুইসাইড করার হুমকি দেন স্বামীকে।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই খাওয়া-দাওয়া একেবারেই করত না মঞ্জুষা। ডায়েট করত। জামাই বলত ঠিক করে খেতে। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে। জামাই বলেছিল বাড়ি ফিরতে। কিন্তু ও চায়নি। বলেছিল জোর করলে বিদিশার মতো কাণ্ড ঘটাব। আমি তখন জামাইকে বলেছিলাম কিছু দিন এখানেই থাকুক। কিন্তু সত্যিই সত্যিই যে সুইসাইড করবে ভাবিনি। ’
পরিবারের এমন দাবির পরও ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সুইসাইড নোট উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে সকালে কলকাতার গড়ফা এলাকা থেকে ‘আমি সিরাজের বেগম’ খ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে’র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় বিছানার চাদর জড়ানো ছিল। দরজা ভেঙে ঢুকে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বলে দাবি করেন অভিনেত্রীর সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তী। এ ঘটনায় গ্রেফতার রয়েছেন সাগ্নিক।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দমদমের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী বিদিশার মরদেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের কোনো প্রমাণ মেলেনি। বিদিশার ঘর থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।