বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখলো ইংল্যান্ড। রবিবার (১৮ জুলাই) লিডসে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ২০০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জবাবে ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। যার ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে এসেছে ১-১ সমতা।
ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহ গড়ায় সবচেয়ে বড় অবদান জস বাটলার। ওয়েন মর্গ্যানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া এই কিপার-ব্যাটসম্যান ওপেনিংয়ে খেলেন ৫৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। এছাড়াও তাণ্ডব চালান মইন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান থামে ১৫৫ রানে। স্বাগতিকদের তিন স্পিনার মিলে ১১ ওভারে ৮৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের পর দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন মইন। আগামী মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ম্যানচেস্টারে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে দুই দল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক জস বাটলার দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন। তার ৩৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। এছাড়া মইন আলি ৩৬, লিয়াম লিভিংস্টোন ৩৮ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ হাসনাইন ৩টি, ইমাদ ওয়াসিম ২টি, হ্যারিস রউফ ২টি, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও শাদব খান ১টি করে উইকেট নেন।
২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একসময় ১ উইকেটে ৭১ রানে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তান পরপর উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায়। দলের পক্ষে মোহাম্মদ রিজওয়ান সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন। ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন শাদব খান। অধিনায়ক বাবর আজম করেন ২২ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রানে আটকে যায় সফরকারীরা। ইংলিশদের পক্ষে সাকিব মাহমুদ ৩টি, আদিল রশিদ ও মইন আলি ২টি করে এবং টম কারান ও ম্যাট পারকিনসন ১টি করে উইকেট দখল করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ১৯.৫ ওভারে ২০০ (রয় ১০, বাটলার ৫৯, মালান ১, মইন ৩৬, লিভিংস্টোন ৩৮, বেয়ারস্টো ১৩, কারান ৯, জর্ডান ১৪, রশিদ ২, মাহমুদ ৩*, পার্কিনসন ৫; ইমাদ ৪-০-৩৭-২, আফ্রিদি ৩.৫-০-২৮-১, হাসনাইন ৪-০-৫১-৩, রউফ ৪-০-৪৮-২, শাদাব ৪-০-৩৩-১)।
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৫/৯ (রিজওয়ান ৩৭, বাবর ২২, মাকসুদ ১৫, হাফিজ ১০, ফখর ৮, আজম ১, ইমাদ ২০, শাদাব ৩৬*, আফ্রিদি ২, রউফ ০, হাসনাইন ০*; রশিদ ৪-০-৩০-২, জর্ডান ১-০-১২-০, কারান ৩-০-২২-১, মাহমুদ ৪-০-৩৩-৩, মইন ৩-০-৩২-২, পার্কিনসন ৪-০-২৫-১)।
ফল: ইংল্যান্ড ৪৫ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা।
ম্যান অব দা ম্যাচ: মইন আলি।