প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা নতুন কিছু না। অনেক দেশে এটি কার্যকর করেছে। ইন্দোনেশিয়া ২০১৬ সালে এমন একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তখন তারা ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছিল। সব টাকা কালো টাকা না। কিছু টাকা বিভিন্ন কারণে কালো টাকা করতে হয়। আমরা বিশ্বাস করি এবার আমরা সফল হবো।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,‘কালো টাকা না বলে আমরা অপ্রদর্শিত টাকা বলছি। সেই টাকাগুলোর জন্যই আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন,‘টাকার একটা বৈশিষ্ট আছে, সেটা যেখানে বেশি রিটার্ন পায় সেখানে চলে যায়। টাকা পাচারের জন্য তারা বিভিন্ন সুযোগ ব্যবহার করে। জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, নরওয়ে টাকা পাচার রোধে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন কারণে টাকা চলে যাবে। টাকা পাচার হয়নি সেটা কখনো বলিনি। যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা আছে, অনেকে জেলে আছে। যে টাকা পাচার হয়েছে সেগুলো দেশের মানুষের হক। সেগুলো ফেরত আনার চেষ্টা করছি। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, তাহলে টাকা সহজে দেশে আসবে না।’
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম ররেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ (বাজেট) অধিবেশনে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা প্রত্যাবর্তনের’ শীর্ষক বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।